১৯ মে ২০২৪ / ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:৪৭/ রবিবার
মে ১৯, ২০২৪ ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

রাবিতে “বঙ্গবন্ধু :জনক জ্যোতিময়”শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

     

মোঃউমর ফারুক,রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু:জনক জ্যোতির্ময় শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে সিনেট ভবনে এ গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রফেসর মোখলেসুুর রহমান সভাপতিত্বে ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক চিওরঞ্জন মিশ্রের সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রফেসর আব্দুস সোবহান বলেন,১৯৭৫ সালে সৈরশাসন প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু বলা যেতনা, যারা বলতেন তাদের নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হত।বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। ইউনেস্কোর কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি দেওয়ার কারন বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতি ভালবাসা, চেতনা বর্তমান প্রজন্ম যেন বুকে লালন করতে পারে, বঙ্গবন্ধু কোনদিন জীবনের মায়া করতেননা, মাত্র ৫৫বছর বেচেঁ ছিলেন, ১৯৭১ সালে পরাজিতরা মনে করেছিল এই মানুষটিকে বাচিঁয়ে রাখলে দেশ উন্নত হয়ে যাবে, সে জন্য তাকে হত্যার জন্য প্রথম থেকে চেষ্ঠা করেছে, তারই সুযোগ্য কন্যা নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্ব মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারছে, আজ নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে।নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে তখন সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে,আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারকে সব রকমের সহযোগিতা করব।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর হারুন অর রশিদ বলেন,যিনি একটি দেশ, সংগীত, পতাকা এবং বাঙ্গালী জাতি দিয়েছেন তিনিই তো জনক এবং জনক জ্যোতির্ময়। আমরা কোনদিন স্বাধীন ছিলামনা, বাঙ্গালীদের উপর ১ হাজার বছর শাসন চালিয়েছে। ১৯৭১ সালে যার নেত্বৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাকে বলা হ, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বলা হয়, তিনি বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। কেন জাতি বিশ ত্রিশ বছরে দেশে হতে পারেনা।জাতীয় চেতনা, ধারণ করে বাঙ্গালী জাতি সৃষ্টি করেছেন। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ বলেছিলেন আজ বাংলাদেশ স্বাধীন, তিনি বাঙ্গালী চিন্তা ছিল বাংলাকে স্বাধীন রাষ্ট হিসেবে গড়ে তুলা।১৯৪৮ সালে ৪ঠা জানুয়ারি তিনি মুসলিম ছাত্রলীগ গড়ে তুলে ছিলেন,ছয়দফা ছিল মূলত এক দফা, কারন সেদিন আইয়ুব খাঁন বলেছিলেন এটা বাঙ্গালী জাতি ঐক্যবদ্ধ করছে, একটি স্বাধীন রাষ্ট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।ডেবিট ফ্রস্ট বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন আপনার প্রথম চিন্তা কি নিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার দেশের জন্য, আপনার সবচেয়ে খুশির দিন কোনটি হবে তিনি বলেছিলেন, যেদিন দেশ স্বাধীন হবে।বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বিশ্বের বড় বড় নেত্রীবৃন্দ বলেছিলেন এ দেশ কতদিন ঠিকে থাকতে পারবে, কিন্তু আজ আমরা দেখিয়ে দিতে পেরেছি বাংলাদেশ আজ সল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংগের স্বীকৃতি দিয়েছে।আমরা আর পিছিয়ে নেই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেত্রীত্বে দেশ আজ বিশ্বে এক রুল মডেল হিসেবে আত্বপ্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু গনতান্ত্রিক দেশের রুপকার। তিনি হিন্দু মুসলমান বোদ্ধ খ্রিষ্টান, সবাই ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার গনতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা নন তিনি সারা বিশ্বের গনতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা।তিনি এই বই তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবোধ, জাগ্রত করতে সহযোগিতা করবে এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদকে অভিনন্দন জানান এরকম একটি গ্রন্থ রচনা করার জন্য।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাবি উপাচার্য ও যুক্তরাষ্টে নিযুক্ত হাইকমিশনার প্রফেসর ছাইদুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন আবেদ প্রমুখ।

এর আগে সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়, এবংইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সুলতান আহমেদ মৃত্যুতে এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply