তিন দিন পেরিয়ে এখনো মেলেনি সন্ধান, নিখোঁজ জেলে পরিবারে কান্নার রোল
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সাগরে শনিবার থেকে নিখোঁজ তালতলীর ৪ জেলের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে ওই পরিবারগুলোতে চলছে কান্নার রোল। এদিকে, সোমবার বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের হাতে ১০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ৭ ডিসেম্বর গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে চার জেলেসহ একটি মাছধরা ট্রলার। এসময় সর্বশেষ ফোনে কথা হয় ট্রলার মালিকের সাথে। এরপর থেকে তাদের কোন খোঁজখবর না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, ওই মাছধরা ট্রলারটি সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে।
ট্রলারের নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছে, তালতলী উপজেলার ছোট আমখোলা গ্রামের জেলে জসিম উদ্দিন, মোঃ আলী হোসেন, শাহিন মিয়া ও বড় আমখোলা গ্রামের আশিকুর রহমান কিরন। নিখোঁজের তিন দিন অতিবাহিত হলেও সোমবার পর্যন্ত তাদের জীবিত অথবা মৃত কোন খবর পাওয়া যায়নি।
সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সুলতান ফরাজী জানান, ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৪ জন ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের হারিয়ে সংসারের অন্যরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
ট্রলার মালিক জাহাংগীর হোসেন জানান, তার এফবি হাওলাদার নামের মাছ ধরার ট্রলারটি গত ৭ ডিসেম্বর গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। ৯ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরের দিকে ট্রলারটি ফিরে আসার সময় ঢেউয়ের তোরে পড়লে তখনও মাঝির সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। এরপর থেকে তাদের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ট্রলারটি ডুবে গেছে। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে ৪ জেলে নিখোঁজের খবর পেয়ে সোমবার সকাল ১০টায় বরগুনার জেলা প্রশাসক মোঃ মোখলেছুর রহমান ও তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সরোয়ার হোসেন নিখোঁজ ৪ জেলের বাড়িতে যান এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ ১০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজ ৪ জেলের লাশ অনুসন্ধানে তালতলীর কোস্টগার্ড সদস্যদের বলা হয়েছে।