২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:৫১/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ১০:৫১ অপরাহ্ণ

নিরিবিলি হোটেলে দেহ ব্যবসা বন্ধের দাবিতে হোসেন আহমদ পাড়ার নারীদের সংবাদ সম্মেলন

     

পতেঙ্গায় অনৈতিক কার্যকলাপ ও রমরমা দেহ ব্যবসা চালানো ‘নিরিবিলি হোটেল’ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর পতেঙ্গা ৪০ নং ওয়ার্ডের হোসেন আহমদ পাড়ার মা-বোনেরা। ৩ জুন শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বেলা ১১টায় এলাকাবাসীর পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় তারা। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন জিইএম প্ল্যান্ট স্টাফ কলোনি জামে মসজিদের মুসল্লিগণ এবং এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাজিয়া সুলতানা রুবি বলেন, জনবহুল এই এলাকায় জিইএম প্লান্ট জামে মসজিদের সামনে ‘নিরিবিলি’ নামে একটি আবাসিক হোটেল। তিনি দীর্ঘদিন যাবত এই আবাসিক হোটেলে অনৈতিক, অসামাজিক ও দেহ ব্যবসায় লিপ্ত। একারণে এলাকাবাসী অতিষ্ট। স্থানীয়-অস্থানীয় যুবক শ্রেণি এই হোটেলে অনৈতিক ও অসামাজিক সুবিধায় তাদের চরিত্র ধ্বংস হচ্ছে, পরিবারিক অশান্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। একজন মা, একজন বোন এবং একজন স্ত্রী হিসেবে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারিনি। তাই আজ আমরা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এসেছি।
তিনি বলেন, এই হোটেলের অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য আমরা এলাকাবাসী স্থানীয় কাউন্সিলর আবদুল বারেক কোম্পানির হস্তক্ষেপ কামনা করলেও তিনি রহস্যজনক কারণে প্রথমে নীরব ভুমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে হোটেল মালিকের পক্ষ নিয়েছেন। এলাকাবাসী আলোচিত এই হোটেলের বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও অবহিত করি। অসামাজিক কার্যকলাপের এই আখড়া বন্ধের দাবিতে গত ২৬ মে শুক্রবার এলাকার হাজারো নারী-পুরুষ মানববন্ধন করে।
ঘটনার সূত্রপাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ১৯ মে ২০২৩ তারিখ পবিত্র জুম্মার দিন এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধ করার অনুরোধ করতে গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং কাউন্সিলর বারেকের গুন্ডা বাহিনীর হামলার শিকার হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই ঘটনায় প্রশাসন হোটেলটি বন্ধ না করে উল্টো এলাকার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। পতেঙ্গা থানার মামলা নং-জিআর ৮৫২৩। কিন্তু এলাকাবাসী থানায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় কাউন্সিলরের প্ররোচনায় মামলা নেয়নি। এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর আবদুল বারেকের বাড়িতে গেলে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন।
রাজিয়া সুলতানা রুবি আবারো বলেন, আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি কাউন্সিলর বারেক হোটেলের মালিক থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তার পক্ষ নিয়েছেন। নিরীহ এলাকাবাসী এখন চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। একদিকে নির্যাতনের ভয় অপরদিকে, এলাকাবাসীর ছেলে-মেয়ের ইজ্জত রক্ষায় আমরা নিরুপায়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং র‌্যাবের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজিয়া সুলতানা রুবি. পান্না আক্তার, রত্না আকতার, বিলকিছ বেগম, নাসিমা আক্তার, হোসনে আরা, মোহাম্মদ ইয়াছিন, রিফাত, নুর আহমদ, জাফর আহমদ, মো. ইকবাল, সাদেকুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply