৭ মে ২০২৪ / ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১২:৪৭/ মঙ্গলবার
মে ৭, ২০২৪ ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে ঐক্য পরিষদের বিশাল সমাবেশে রাণা দাশগুপ্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহবান ২২ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন

     

 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (১৬ জুলাই, ২০২২) শনিবার বিকালে চেরাগী পাহাড় চত্বরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব সকল প্রতিশ্রুতি আগামী এক বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া সংখ্যালঘুদের কাছে আর কোন বিকল্প থাকবে না। তিনি এ পর্যয়ে আগামী ২২ অক্টোবর, ২০২২ শনিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি সময়ের মধ্যে রয়েছে- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, বৈষম্য বিলোপ আইন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পাবর্ত্য ভ‚মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের দ্রæত বাস্তবায়ন এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্যে পৃথক ভ‚মি কমিশন গঠন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি প্রকৌশলী পরিমল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রুবেল পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা আবৃত্তিকার রাশেদ হাসান ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. জিনবোধি ভিক্ষু, উত্তর জেলার সভাপতি ইন্দু নন্দন দত্ত, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. প্রদীপ চৌধুরী, মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ ভট্টচার্য ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব, প্রভু চিন্ময় ব্রহ্মচারী (ইসকন), কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, কাউন্সিলর নিলু নাগ, কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্তা, লায়ন শংকর সেনগুপ্ত (মহানগর জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ), অনিল বিকাশ চাকমা (আদিবাসী ফোরাম), অধ্যাপিকা বিজয় ল²ী দেবী (বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি), জন অর্পন সমাদ্দার (বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিলাল দেওয়ানজী, সুমন কান্তি দে, সহ সম্পাদক বিশ^জিৎ পালিত, কল্লোল সেন, বিজয় কৃষ্ণ দাশ, অধ্যাপক শিপুল দে, সিজার বড়ুয়া, রিমন মুহুরী, প্রদীপ দে প্রমুখ। এ সব সংগঠন ছাড়াও সে সব সংগঠন উপস্থিত ছিল তারা হলো, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ- চট্টগ্রাম মহানগর শাখার বিভিন্ন থানা কমিটি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ, সৎসঙ্গ বিহার, সীতাকুন্ড ¯্রাইন কমিটি, গোলপাহাড় মহাশশ্মান কালিবাড়ি পরিচালনা কমিটি, সনাতন সংগঠন, শারদাঞ্জলী ফোরাম, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, বৌদ্ধ সমিতি, বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বাংলাদেশ বৈদিক পরিষদ, হিন্দু মহাজোট, লোকনাথ সেবক সংঘ, চাক্তাই লোকনাথ ধাম, দেওয়ানেশ^রী কালিবাড়ি পরিচালনা কমিটি, উত্তর চট্টগ্রাম মৎসজীবী জলদাশ ফেডারেশন, স্বস্তিকা, ভ্রাম্যমান গীতা প্রচার সংঘ, হিন্দু সমাজ কল্যাণ পরিষদ।
অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় স্ব স্ব ধর্মের মত অন্য সকল ধর্মের প্রতি সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল। এখনো তারা মাজারে, উপাসনালয়ে মানত দেয়, প্রার্থণা করে। সংখ্যালঘু নারীরা মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শ্রদ্ধা, মাথায় কাপড় দেয়। অথচ পাকিস্তান আমলে নয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে একটানা অদ্যাবধি ধর্ম অবমাননার মিথ্যা জিগির তুলে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার চালিয়ে সংখ্যালঘু শিক্ষকসহ তাদের মন্দির উপাসনালয়, ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট অব্যাহত রেখেছে এবং এর মধ্য দিয়ে সংখ্যালঘু জনগণে ইতোমধ্যে ভিতির সঞ্চার করেছে ও তাদের ভবিষ্যৎ শান্তিপূর্ণ জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। দেশবাসী সবাই ইতিমধ্যে জেনেছে, ফেইজবুক আইডি হ্যাক করে, হনুমানের পায়ের কাছে পবিত্র কোরাণ শরীফকে রেখে এসব অপকর্ম চালানো হয়েছে, হচ্ছে। এর পরেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিপথগামী কেউ যদি মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মানুভ‚তিতে আঘাত করে তার দায় তার, অন্য কারো নয়। কিন্তু একজনের দায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চালিয়ে দিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করা জঘন্য চক্রান্তের অংশ বলে আমরা মনে করি। এসব ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সবটাই পরিকল্পিত। সরকার, সকল রাজনৈতিক দল, শ্রদ্ধেয় আলেম ওলেমা সমাজের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন সংখ্যালঘুদের জানমাল সম্পদ রক্ষায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা পালন করি।
অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত মহানবীর প্রতি ভারতের জনৈক রাজনৈতিক নেত্রী নূপুর শর্মার কটাক্ষের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সকল ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে নিদারুণভাবে ক্ষুব্ধ। যে কোন ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষ অপর ধর্মের কটাক্ষ করতে পারে না। তিনি নূপুর শর্মার অপকর্মের জন্য ভারত সরকারের কাছে দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং তার বিরুদ্ধে ভারতীয় সুপ্রীম কোর্টে অতি সাম্প্রতিক মন্তব্যকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তিনি ধর্মের পবিত্রতার স্বার্থে পবিত্র ধর্মকে রাজনীতির সাথে যুক্ত না করার জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশতক পর সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সমাজের রন্ধে রন্ধে ঢুকে গেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে ভয়াবহ বিপর্যয় ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে এবং মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুন্নে ধর্মনির্বিশেষে যারা তৎপর তাদের বিরুদ্ধে সচেতন সক্রিয় ভ‚মিকা গ্রহণের জন্য সরকার, প্রশাসন ও সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন সমাবেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এ মর্মে আশা প্রকাশ করেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে দেয়া তাঁর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অনতিবিলম্বে এগিয়ে আসবেন। আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির উত্থানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পুণর্গঠনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময়। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত বলেন- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কর্তৃক ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়নে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানান।
সমাবেশ শেষে হাজারো জনতার মিছিল আন্দরকিল্লা হয়ে লালদিঘী ময়দানের মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিলে শ্লোগান ছিল- নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন কর, করতে হবে; হিন্দু নয় মুসলিম নয় আমরা সবাই বাঙালি; বৌদ্ধ নয় খ্রিস্টান নয় আমরা সবাই বাঙালি; সংখ্যালঘু নির্যাতনের অবসান চাই বিচার চাই; বাঙালি-আদিবাসী ভাই-ভাই এক সাথে লড়তে চাই; মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্রধর্ম ছিলনা; সাম্প্রদায়িকতা রুখো, বীর বাঙালি জাগো ও সাম্প্রদায়িকতার কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও ইত্যাদি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply