কিশোর গ্যাং এর দখলে ফেনীর দর্শনীয় রাজাঝির দীঘি মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর
কামরুল হাসান নিরব
ফেনী ঐতিহাসিক রাজনন্দীনি বা রাজাঝির দীঘিতে ফেনীর সর্বস্তরের মানুষ অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য সময় ব্যয় করতে যায়।কিন্তু হঠাৎ করেই দলবদ্ধ কিশোর গ্যাংদের উৎপাতে অসহায় শিক্ষিত পেশাজীবি সাধারন মানুষ।হুট করেই সিগারেট হুকে দেয়,মারমুখী ভঙ্গিতে চলাফেরা করে।এতে সাধারন মানুষ নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে দ্রুত পাশ কেটে পড়ে।সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া ১৬ বছরের তরুনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। যাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হলে মানুষ সাধুবাদ জানায়। পকেটে চাপাতি, খুর নিয়ে ছুটে বেড়ানো,ধাক্কা দিয়ে জগড়া করা,সিনিয়র বড় ভাই বা বোনদের সিগারেটের ধোঁয়া নিক্ষেপ করা,অশ্লীল ভঙ্গিতে আচরন করা সহ নানাবিধ অভিযোগ যেন প্রত্যহই বাড়ছে। এই বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দীন বলেন “কিশোর গ্যাংদের কবলে দিঘীর মানুষজন ব্যাপক অসহায়। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে এদের সমাধান না করলে প্রশাসনিক ভাবে এর তেমন ইখতিয়ার নেই।” দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সোনাগাজি প্রতিনিধি ও আজকালের খবরের জেলা প্রতিনিধি এ কে এম হাসান মাহমুদ বলেন”বড় ভাইদের লালিত পালিত এসব গুন্ডাদের কবলে ব্যাপক অসহায় সাধারন মানুষ।আমরা প্রশাসনিক ভাবে এর সমাধান চাই” প্রতিদিনের সংবাদের জেলা প্রতিনিধি ও আজকের ফেনী অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন বলেন”সাংবাদিক দের কলমে আগের মত ধার নেই,নতুবা এই শহরে কিশোর গ্যাং বিলীন হত সেই কবে;বিভিন্ন ভাবে সাংবাদিক দের আজ বাকরুদ্ধ ও কলম ধোতা করে দেয়া হয়েছে” তাবিজ সুমন বলেন”গতসপ্তাহে আমার স্ত্রী সহ গিয়েছিলাম দিঘীতে ঘুরতে।সেখানে বখাটেদের নজর ও ভঙ্গিতে আমি অসহায়ের মত হয়ে পড়ি। চিৎকার করতে ইচ্ছে করে বলতে হয় কিশোর গ্যাং নির্মূল করে রাজাঝির দিঘি মুক্ত করো;কিন্তু পারি না।কারন বললে আগামীকাল ড্রেনে আমার অর্ধাঙ্গ লাশ বা বেদম পিটানো দেহখানা পড়ে থাকবে।কেউ দেখতে আসবে না”