২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৪১/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৬:৪১ অপরাহ্ণ

হাটহাজারীতে হালদায় তৃতীয় দফায় ডিম পেয়েছেন ৩৯০ কেজি

     

 পারভেজ মাহমুদ,,হাটহাজারী
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী চট্টগ্রামের হাটহাজারী অংশে তৃতীয় দফায় ডিম পেয়েছেন ৩৯০ কেজি।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন উপজেলার গড়দুয়ারা নয়াহাট, উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নস্থ মাছুয়াঘোনা ও শাহমাদারি হ্যাচারীর ডিম সংগ্রহকারী ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতের বজ্রসহ বৃষ্টি আর পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মা মাছ তৃতীয় দফা ডিম ছাড়ে। তবে সবার আশা ছিল হয়ত পরিবেশ অনূকুলে থাকায় পুরোদমে ডিম ছেড়ে দেবে। কয়েক শ ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নামলেও আশানুরুপ ডিম পায়নি। তাই তৃতীয় দফার ডিমকেও নমুনা ডিম বলে আখ্যায়িত করেন। কারণ হিসেবে অভিজ্ঞ কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী বলেন, এখনো ডিম ছাড়ার সময় ফুরিয়ে যায় নি। কয়েকদিন পরেই আরেকটি জো (অমাবস্যা) রয়েছে। আশা করছি আগামিতে জোতে পুরোদমে ডিম ছেড়ে দিবে। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি আর পাহাড়ের নেমে আসা স্রোত না হলে সন্দেহ আছে। এর আগে ২৬ ও ২৭ মে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় ডিম সংগ্রহকারী ও হ্যাচারীতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের তথ্যমতে ৩ হাজার ৯২০ কেজি ডিম সংগ্রহ হলেও এ দফায় পাওয়া গেছে অনেক কম। মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীর দায়িত্বে থাকা সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারহানা রহমান জানান, বুধবার সকাল সন্ধ্যা মিলে ১০ টি নৌকায় ২২ বালতি ডিম সংগ্রহ করে মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শাহমাদারি হ্যাচারীতে আধা বালতি ও মদুনাঘাট হ্যাচারীতে ২ বালতি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে। নয়াহাট নিজস্ব মাটির কুয়ায় ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর ৭ বালতি, পশ্চিম গড়দুয়ারা স্লুইসগেট এলাকার মোঃ সবুর ও ওসমান পেয়েছেন ৪ বালতি, পারভেজ ও বাদল ৩ বালতি ডিম পেয়েছেন। হালদায় মা মাছের ডিম ছাড়ার বেশ কয়েকটি (কুম) স্থান থাকলেও বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পশ্চিম গড়দুয়ারার স্লুইসগেট, নয়াহাট, আজিমের ঘাটা ও মাছুয়াঘোনা এলাকায় ডিম পাওয়া যায় বলে জানা গেছে।আগামী কয়েক দিন পর শুরু হবে অমাবশ্যার জো এই জোতে হয়তো বৃষ্টি মেঘের গর্জন ও পাহাড়ি ঢলের স্রোত হালদায় প্রবেশ করলে আবারো ডিম ছাড়তে পারে। তবে এই জো এ মৌসুমের শেষ জো বলে জানান ডিম সংগ্রহকারীরা। এ ছাড়া জুন মাসেও ডিম ছাড়ার জো থাকলেও এ ডিম তেমন সুবিধাজনক নয় বলে জানান ডিম সংগ্রহবারীরা।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply