২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:৪৫/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৮:৪৫ অপরাহ্ণ

আমাকে হত্যার জন্য গুলি করা হয়েছে : কাদের মির্জা

     

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে আমার পৌরসভা কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে সন্ত্রাসীরা। আমাকে হত্যার উদ্দেশে ৫ শতাধিক গুলি করেছে। এ সময় আমার কর্মীরা মানবপ্রাচীর করে আমার গায়ের ওপর শুয়ে আমাকে প্রাণে রক্ষা করেন। আমার সাথে থাকা ৬০ জন দলীয় নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।’

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বসুরহাট পৌরসভার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে পুলিশ আমার দলের নিরীহ কর্মী ইকবাল চৌধুরী, মো. লিটন ও একরামসহ ৮ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সারারাত ডিবি পুলিশ, অন্যান্য বাহিনী আমার নেতা-কর্মীদের প্রত্যেকের বাড়িতে হানা দিচ্ছে এবং নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের পিতা ও আত্মীয়-স্বজনদের মারধর করছে।’

তিনি বলেন, ‘শুনেছি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগকে কোম্পানীগঞ্জের বিষয়ে তদন্ত করে দলীয় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমি আমাদের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীকে দিয়ে কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় দলীয়ভাবে তদন্তভার দেওয়ার আহ্বান জানাই। জেলা আওয়ামী লীগ কমিটি এখনও অনুমোদন হয়নি। তাছাড়া যারা আমার বিরুদ্ধে হামলা করেছে ঐ কমিটি তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাই তাদেরকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না।’

কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি-সাংবাদিক মুজাক্কির ও আলমগীর হত্যাসহ যত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এগুলোর বিচার বিভাগীয় কমিটি করে তদন্ত অথবা এনএসআই ও ডিজিএফআইকে তদন্তভার দেওয়া হোক। নোয়াখালীর প্রশাসন দিয়ে তদন্ত করলে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায় না। কারণ অপশক্তিরা নোয়াখালী প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে।’

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘একরাম চৌধুরীর বাড়িতে দফায় দফায় বৈঠক করছে, আমাকে হত্যা করার জন্য। নোয়াখালীর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম একজন মেরুদণ্ডহীন প্রাণী, তার কারণে একরাম আকাম-কুকাম করছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম করে একরাম টাকা বেশি খায়, সেলিম কম হলেও খান।’

সবসময় সত্য কথা বলে যাবেন উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ইভিএম ভোটে কাস্টিং ভোটের ৭৭ ভাগ ভোট পেয়েছি। আমার এ জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষরা নিজাম হাজারী ও একরাম চৌধুরীর সাথে এক হয়ে আমার বিরোধিতা করছে।’সৌজন্য ইত্তেফাক

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply