২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:২৪/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

লামায় মৃত মানুষকে জীবিত করার প্রশাসনিক কারিশমা !

     

লামা সংবাদদাতা
লামায় মৃত মানুষকে জীবিত করার প্রশাসনিক কারিশমা (!)। লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন এখন ভুমি আগ্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। মৃতকে জীবিত দেখিয়ে ভুয়া দলিল সৃজন করে একের পর এক ভুমি দস্যুতার কবলে পুনর্বাসিত বাঙ্গালীদের ত্রাহী অবস্থা বিরাজ করছে। প্রশাসন ও সমাজপতিরা একই সূত্রে যুক্ত হয়ে অন্যায়-অত্যাচারকে মদদ দিচ্ছে। অভিযোগগুলো আদালত পর্যন্ত গড়ালেও তদন্তকারীদের পক্ষপাত আচরণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন প্রান্তিক মানুষ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পুনর্বাসিত আবদুল করিম ১৯৮০-৮১ সালে জেলা প্রশাসকের ৬২৩১ নং বন্দোবস্তি মোকাদ্দমামূলে সরকার কর্তৃক চার একর ২য় শ্রেণির জমি প্রাপ্ত হন। ১৯৮০ সাল থেকে ওই জমিতে চাষাবাদ, বাড়িঘর করে আবদুল করিম সেখানে ৫ সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সরই ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ অনুযায়ী ২০০৮ সালের জুন মাসের ২০ তারিখে আবদুল করিম মৃত্যুবরণ করেন। আবদুল করিম মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগন ওই ভুমিতে দখলে স্থীত রয়েছেন।
এদিকে ২০২০ সালের ৮ আগষ্ট লোহাগাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম, সামসুল ইসলাম, মিনু আকতার গং মৃত আবদুল করিমের সন্তানদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য দলবল নিয়ে হামলা করে। জানা যায়, এই জবর দখল  প্রক্রিয়ায় বহিরাগতদেরকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এক পর্যায়ে আবদুল করিমের নামীয় তার সন্তানদের দখলে থাকা প্রায় এক একর জমিতে জোরপূর্বক ধান রোপন করে হামলা-জবরদখলকার্রী। এই ঘটনায় ১৭ নভেম্বর-২০২০ তারিখে আবদুল করিমের ছেলে আবু ছৈয়দ বাদী হয়ে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হামলাকারী ও ইন্দনদাতাসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় লামা থানার ওসি তদন্তকে।
এদিকে জবর দখলকারীরা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে প্রান্তিক পরিবারটির উপর। আবদুল করিমের নামীয় জমিটি জবর দখলের কারণ হিসেবে জানা যায়, আবদু সত্তার নামের একজন ২০২০ সালে মৃত আবদুল করিম থেকে ক্রয়সূত্রে ওই জায়গার মালিক হয়েছে (!)। সরই ইউপির মৃত্যু সনদমতে আবদুল করিম একযুগ আগেই মৃত্যু বরণ করেন বলে জানা যায়। এ জ্বাজল্যমান প্রতারণার বিষয়ে জানার পরও স্থানীয় প্রভাবশালীরা পক্ষাবলম্বন করছেন জবর দখলকারীদের দিকে। একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, লোহাগাড়ানিবাসী জবর দখলকারী সাইফুল ইসলামগং উৎপেতে আছেন আবু ছৈয়দের ক্ষতি করার জন্য।
স্থানীয়রা জানান, যে কোন সময় মৃত আবদুল করিমের সন্তান আবু ছৈয়দ ও তার পরিবার পরিজনের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা করার প্রকাশ্যে হুমকী দিচ্ছে সাইফুল ইসলামগং।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ নজরে আনা প্রয়োজন। অন্যথায় রক্ষক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্খা করেছেনে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লামা থানার ওসি তদন্ত জানান, জায়গা-জমির বিষয়ে আদালতের আদেশের বাইরে কিছু করা যায়না। শান্তি-শৃঙ্খলা বঝায় রাখতে দু’পক্ষকে বলা হয়েছে।ইচ্ছা করলে নতুন করে আদালতে নিষেধাজ্ঞা চাইতে পারেন বাদী।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply