নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ অনিয়ম ও অবহেলার আগুনে ঝরে যায় ৩১ প্রাণ
অন্য আট-দশ দিনের মতোই মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন মানুষ। এশার নামাজের জামায়াত শেষ হওয়ার পর যারা মসজিদ ত্যাগ করেছিলেন তারা অক্ষতই বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু যারা ভেবেছিলেন আরো কিছুক্ষণ পর বের হবেন; তারা বের হলেন বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে। নারায়ণগঞ্জের তল্লায় বায়তুস সালাত মসজিদে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ৩১ জন মুসল্লির। বাকিদের প্রাণ রক্ষা হলেও শরীরে রয়ে গেছে পোড়াজনিত ক্ষত এবং দুর্ঘটনার দুর্বিষহ স্মৃতি। করোনা মহামারিকালে ৪ সেপ্টেম্বরে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা গোটা দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছিল।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে নানা ধরনের কথা বাতাসে ভেসে বেড়ালেও শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয় গ্যাস-বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের কারণেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। মসজিদের ভেতরে বিদ্যুতের স্পার্ক গ্যাসের জীর্ণ পাইপলাইন স্পর্শ করলে মুহূর্তেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বিস্ফোরিত হয় মসজিদের এসিও। জানালার কাঁচ উড়ে যায় এবং দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের পর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐ মসজিদে বিস্ফোরণের জন্য স্থানীয়দের অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুত্ সংযোগই দায়ী। একইসঙ্গে মসজিদের নির্মাণকাজেও ছিল ত্রুটি; এ কারণে মাটির নিচের পাইপের ছিদ্র থেকে মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমা হয়। আর ঐ গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুত্ সংযোগের জন্য সরকারি সংস্থা তিতাস গ্যাস কোম্পানি এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) দায়দায়িত্ব আছে। তিতাস গ্যাস ও ডিপিডিসির স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এ অবৈধ সংযোগ দিয়েছে। মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি আ. গফুর এবং জমিদাতা শামসুদ্দিন সর্দারও স্বীকার করেছেন গত রমজান মাসে ডিপিডিসির স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মৌখিক কথা বলে অবৈধ বিদ্যুত্ লাইনটির সংযোগ নেওয়া হয়। সবটুকু খবর পড়তে ক্লীক করুন