আইয়ুব বাচ্চু’র দুই সন্তানের বিবৃতি
দীর্ঘদিন ধরেই এলআরবি ও আইয়ুব বাচ্চুর গান নিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। কিন্তু কোথায় এর সমাধান সেটি নিয়েও শংকা ছিল এলআরবি ও আইয়ুব বাচ্চু ভক্তদের। অবশেষে তার পরিবার একটি সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এলআরবি ও আইয়ুব বাচ্চুর সকল গান ও কার্যক্রম নিয়ে তার দুই সন্তান ফাইরুয সাফরা আইয়ুব ও আহনাফ তাযওয়ার আইয়ুব-এর অফিসিয়াল বক্তব্যটিই এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো —
একজন শিল্পী এবং তাঁর সংগীতের স্রষ্টা হিসাবে আমার বাবা আইয়ুব বাচ্চুই তার সৃষ্টিকর্মগুলো দীর্ঘকাল আগেই কপিরাইট করবার জন্য উদ্যোগী হন। বিভিন্ন চড়াই উত্রাই পার হয়ে তিনি তাঁর গানের পুরো তালিকা কপিরাইট নিবন্ধিত করবার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিলেন। আইনীভাবে এগিয়ে যাওয়া এবং শিল্পীদের অধিকার এবং মালিকানা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রতি বাবা-ই সর্বদা লড়াই করেছে। কিন্তু, তাঁর অকাল মৃত্যুতে আমরা পরিবার হিসাবে তার লক্ষ্য পূরণে তাঁর অসম্পূর্ণ স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ও নানা প্রতিকূলতার পরেও আমি এবং আমার ভাই এখন বাবার অসমাপ্ত কাজ সুন্দর ভাবে শেষ করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তাঁর অসম্পূর্ণ যাত্রাটি শেষ করা এবং কেউ যাতে তার সৃষ্টিকর্মের মালিকানার অপব্যবহারের সুযোগ খুঁজে না পায় এটা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের মুল লক্ষ্য।
এখানে উল্লেখ্য যে এল.আর.বি নামে ব্যান্ডটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ আমার বাবা আইয়ুব বাচ্চু সম্পূর্ণ এককভাবে নেন। তাই তিনি একক ভাবে তার রচিত, সুরারোপিত ও নিজ কণ্ঠে পরিবেশিত ২৭ টি অ্যালবামের সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট করবার পাশাপাশি ‘এল.আর.বি’ নাম সম্বলিত লোগো এবং ব্যান্ডটিও তার নামে নিবন্ধিত করেছিলেন। রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও তার রচিত, সুরারোপিত ও স্বকণ্ঠে পরিবেশিত আরও অসংখ্য গান রয়েছে, যেগুলো কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। তার অকাল মৃত্যুর পর সন্তান হিসেবে আমরা তার বৈধ স্বত্বাধিকারী। আমরা অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছি যে, বিভিন্ন ব্যক্তি বিচ্ছিন্নভাবে আমাদের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ না করেই তার রচিত, সুরারোপিত ও নিজ কণ্ঠে পরিবেশিত গানগুলো কোন স্ট্যান্ডার্ড বজায় না রেখে যেনতেনভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে গাইছেন, এমনকি বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করছেন। যা বাংলাদেশ কপিরাইট আইন লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গন্য।
এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য বাবার সৃষ্টিকর্মের আইনী মালিকানার ক্ষেত্রে যাবতীয় প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হওয়া। তাই এখন থেকে আমাদের সম্মতি ব্যতিরেকে এল আর বি নামের অপব্যবহার করে আইয়ুব বাচ্চুর কপিরাইট রেজিস্ট্রিকৃত গানগুলো পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হলো। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন ও দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবটুকু খবর পড়তে ক্লীক করুন