২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:৩৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১:৩৯ অপরাহ্ণ

সরকারকে দেয়া বিবৃতিতে ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদকের ১২ পরামর্শ

     

* তথাকথিত জাতীয় কমিটি কর্তৃক ঢাকাসহ ৪ নগরীতে পশুর হাট বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত জামাত-জোট-হেফাজতের ষড়যন্ত্রমূলক এজেন্ডা। যা সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তোলার, সংক্ষুব্ধ করার কৌশল। এ সিদ্ধান্ত ওলামা লীগ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান ঘৃণ্যভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
* পবিত্র কুরবানির হাট নিষিদ্ধ করলে বা হাটের সংখ্যা কম করা হলে পবিত্র কুরবানী নিরুৎসাহিত করলে এবং ফ্লাটবাড়িতে পবিত্র কুরবানী নিষিদ্ধ করলে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের দেশের সরকারের ভাব মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। পাশাপাশি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোন আইন পাশ হবেনা, এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে।
* পবিত্র কুরবানীর পশু মহান আল্লাহ পাক উনার শেয়ার। এর ছবি তোলা বা ডিজিটাল হাট পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হারাম। ডিজিটাল হাটের নামে কুরবানীর পশু বেচাকেনা বাঁধাগ্রস্থ ও সীমাবদ্ধ স্বল্প সংখ্যক করার অপচেষ্টা করলে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই দেশে মুসলমানগণ গৌড়গোবিন্দের পদক্ষেপ মনে করে ক্ষুব্ধ হবে। যার সুযোগ নিবে জামাত-জোট হেফাজত। পাশাপাশি ডিজিটাল হাটের নামে প্রতারিত হবেন কুরবানী দাতারা। কাজেই ডিজিটাল হাট বসানো যাবেনা।
* খোদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদে উল্লেখ আছে “সংক্রমণ বা ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোন কিছু নেই”। সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরী ও শিরকীর অন্তর্ভুক্ত। ইফার ছোঁয়াচে ফতওয়াকে ১০০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ।
* বিএনপি-জামাত চায় লকডাউনের নামে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে। একইভাবে তাদের এজেন্টরা চাচ্ছে করোনার অজুহাতে পবিত্র কুরবানী বাধাগ্রস্থ, দেশের পোল্ট্রি খামারীদের মাঠে বসাতে। সরকারকে বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিতে হবে।
উপরোল্লিখিত বক্তব্যসহ ১২ দফা দাবীতে আওয়ামী ওলামা লীগের মানববন্ধন
স্থান: জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা। তারিখ: ১৪.০৭.২০২০ খ্রি:
আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকর বক্তব্য লেখা, প্রকাশনা-প্রচারের শাস্তি মৃতুদ-। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ উনাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওলামা লীগ বলেছে, ছোয়াচে বলে কোন রোগ নেই। ছোয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী। পাশাপাশি পবিত্র কুরবানী বাধাগ্রস্থ করা, পবিত্র কুরবানীর হাট কমানো, ডিজিটাল হাট বসানো, পবিত্র কুরবানীকে নিরুৎসাহিত করা, ফ্ল্যাট বাড়িতে পবিত্র কুরবানী নিষিদ্ধ করা ইত্যাদি পদক্ষেপকে কাট্টা হারাম এবং জামাত জোটের ষড়যন্ত্র বলে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দফা দাবীতে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১২টি ইসলামিক দল।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে খুনী মুশতাকের বংশবদরা এখনও ভর করে আছে। তারা মহাসম্মানিত পবিত্র কুরবানীর বিরুদ্ধে এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে সাধারণ ধর্মপ্রাণরা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায়। সাধারণ ধর্মপ্রাণদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত লাগে। ধর্মপ্রাণ মুসলমান সংক্ষুব্ধ হয়। জামাত শিবির তাতে উস্কানি দিয়ে সরকারকে ইসলাম বিরোধী বলে প্রমাণ করতে পারে এবং সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিতে পারে।
বক্তারা বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার শেয়ার বা নিদর্শন উনাদের, সম্মানিত হারাম মাস উনাদের, হারাম শরীফ-এ কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট পশু, ওই সমস্ত পশু যাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ওই সমস্ত ব্যক্তি যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য হজ্জ পালন করতে যান উনাদের ইহানত বা অবমাননা করো না।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘পবিত্র কুরবানীর দিন রক্ত মুবারক প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোনো আমল মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে নেই।
বক্তারা বলেন, পবিত্র কুরবানীর হাট, পশু এবং কুরবানী বিরোধী সব পদক্ষেপ উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অবমাননা।
বক্তারা বলেন, সাধারণ মুসলমান পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবেনা- এ প্রতিশ্রুতি পেয়েই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাছাড়া সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম। পবিত্র কুরবানী হাট ও পশু বিরোধী পদক্ষেপ নিলে, সাধারণ মানুষ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার উপর আঘাত এবং সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ মনে করে ক্ষুব্ধ হবেন। যার সুযোগ নিবে জামাত-শিবির।
মানববন্ধনে উত্থাপিত ১২ দফা দাবী:
১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকর বক্তব্য, লেখা, প্রকাশনা, টিভি প্রোগ্রাম, রেডিও প্রোগ্রাম, ইন্টারনেটে স্ট্যাটাসসহ যে কোন বিষয় প্রচার, প্রকাশ ও প্রদানকারীর শাস্তি শুধুমাত্র মৃত্যুদ- দিতে হবে। মানহানীকর সকল বিষয় নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দোষী ব্যক্তির শাস্তি কার্যকরে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. সউদী ওহাবী মুরতাদ শাসকরা একের পর এক ইসলাম বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। তারা মুসলমানদের চরম শত্রু ইহুদীদের সাথে বন্ধুত্বের আহবান জানাচ্ছে। পবিত্র মদীনা শরীফ জিয়ারত বন্ধ করেছে। পবিত্র হজ্জ, পবিত্র ওমরা, পবিত্র তারাবীহ নামায নিষিদ্ধ করেছে। অপরদিকে ৬০০ সিনেমা হল, সিনেমা, নারীদের বোরকা উঠিয়ে বিকিনি পড়াসহ সব ধরণের বেলেল্লাপনা চালু করছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম ও ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সরকারের উচিত হবে- এসবের তীব্র নিন্দা জানানো ও কঠোর প্রতিবাদ করা। এবং এদেশের যেসব নামধারী মালানা সউদী ওহাবীকে অনুসরণ করে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
৩. ‘করোনা ছোঁয়াচে ও মহামারী’- ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রণীত এবং তার সাথে হেফাজতী ও তাব্যৎ ধর্মব্যবসায়ী উলামাদের দ্বারা সমর্থিত এ ফতওয়াকে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের প্রেক্ষিতে রাজারবাগ শরীফ সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কোটি টাকার চ্যালেঞ্জসহ প্রকাশ্য বাহাসের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ওলামা লীগ ও নির্ভরযোগ্য ইসলামী দলীলের প্রেক্ষিতে রাজারবাগ শরীফের সাথে একমত পোষণ করে করোনা ছোঁয়াচে ও মহামারী- এ ফতওয়াকে চ্যালেঞ্জ করছে এবং বাহাসের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কারণ এভাবে করোনা আতঙ্ক বিস্তার করলে দেশ পিছাতে থাকবে, সরকার হিমশিম খাবে।
৪. করোনার অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ও মাদরাসা বন্ধ করা, ফাক ফাক করে নামাজে দাড়ানো, ১২ জনের বেশি মুছল্লী না হওয়া, মাঠে ঈদের জামায়াত করতে না দেয়া ওহাবী-জামাতপন্থীদের ষড়যন্ত্রমূলক ফতওয়া। যা সম্পূর্ণ কুফরী হয়েছে। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান এতে সরকারের প্রতি যারপর নাই ক্ষুব্ধ হচ্ছে। এটা জামাতী ওহাবীদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে।
৫. তথাকথিত জাতীয় কমিটি কর্তৃক ঢাকাসহ ৪ নগরীতে পশুর হাট বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত ওলামা লীগ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছে। করোনা অথবা যানজটের অজুহাতে কুরবানীর পশুর হাট রাজধানীর বাইরে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেশের ৯৮ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান, হক্কানী-রব্বানী আলিম সমাজ তথা ওলামা লীগ বরদাশত করবেনা। কুরবানীর হাটের সময় ১০ দিন করা হোক। রাস্তাঘাট বন্ধ করে ঢাকা মহানগরে ২২১টি মন্ডপ হতে পারলে কুরবানীর হাট মাত্র ২১টি কেন? প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যার ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক কমপক্ষে ২ শত কুরবানীর হাট বসানো হোক।
৬. ৯৮ভাগ মুসলমান জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাস কুরবানীর ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। পবিত্র কুরবানীর হাট বন্ধ করলে, কুরবানীর উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করলে, ফ্লাট বাড়ীতে অথবা অন্য কোথাও কোরবানী নিষিদ্ধ করলে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই দেশে মুসলমানগণ গৌর গোবিন্দের পদক্ষেপ মনে করে ক্ষুব্ধ হবে। যার সুযোগ নিবে জামাত-জোট-হেফাজত। কাজেই নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানীকে নিষিদ্ধ করা বা বাধাগ্রস্থ করা বা স্পট নির্ধারণ করার কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবেনা। এতে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান দেশের সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়।
৭. মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পবিত্র কুরবানীর দিন রক্ত প্রবাহিত করা অর্থাৎ পবিত্র কুরবানী করা সবচেয়ে বড় পছন্দের কাজ। কাজেই যারা পবিত্র কুরবানী বাদ দিয়ে- দান করার কথা বলে তারা কু-বুদ্ধিজীবি ও কুশীল এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে মুরতাদ। এক্ষেত্রে এদের বিরুদ্ধে, এবং এদের সমমনা মিডিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে- পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির দাবীদার সরকারকে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে।
৮. কুরবানীর ঈদ তিন দিন; কাজেই আসন্ন কুরবানীতে সরকারীভাবে ১২ দিন ছুটি দিতে হবে।
৯. কুরবানীর হাট ইবাদতের হাট। কাজেই এ হাটে গান-বাজনা, গরুর ছবি তোলা ইত্যাদি হারাম কাজ মুক্ত করা হোক। তথাকথিত ডিজিটাল হাট করা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হারাম। তাই ডিজিটাল হাটের নামে হারাম কাজ ও প্রতারণার ফাঁদ বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি কুরবানীর হাটে পর্যপ্ত টয়লেট, এটিএম বুথ, জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন বসানো হোক। পাশাপাশি কুরবানীর পশু পরিবহনের গাড়ীতে চাঁদাবাজি এবং ঈদের দিন চামড়া সংগ্রহে মাস্তানদের উৎপাত বন্ধ করা হোক।
১০. সরকারীভাবে কুরবানী করে তার গোশত দরিদ্র মুসলমানদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হোক। পাশাপাশি অনেক সুবিধাবাদী মহল ও ব্যক্তি ছলনা করে এক গরু জবাই করে তার গোশত বিতরণের ছবি বিভিন্নভাবে একশতবার প্রদর্শন করে তার ভিডিও মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে বিপুল টাকা দেশে আনে ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করে। কাজেই গরু কুরবানীর ছবি, গোশত কাটাকাটির ছবি তোলা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হোক।
১১. বাংলাদেশে হিন্দুরা জামাই আদরে আছে। কিন্তু ভারতে মুসলমানরা চরম নিপীড়ণের স্বীকার। তারা ইসলাম পালন করতে পারেনা। গরু কুরবানীও করতে পারেনা। হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব ‘গাদীমাই’ উপলক্ষে ভারতে গরু, মহিষসহ বিভিন্ন পশু বলি দেয়া বৈধ হলেও মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব কুরবানী উপলক্ষে পশু কুরবানী নিষিদ্ধ। ভারতের মুসলমানরা যাতে কুরবানী করতে পারে, শান্তিতে থাকতে পারে তার জন্য বিশ্বের প্রভাবশালী, মহিলা প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ভারতের উপর চাপ প্রয়োগের দাবী।
১২. পবিত্র কুরবানী বিরোধী তৎপরতা ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশকে পুনরায় গৌড় গোবিন্দের দেশ বানানোর তৎপরতা। এ তৎপরতায় যারাই ঘি ঢালছে, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট কমানো ও পবিত্র কুরবানী বিরোধী ঘোষণা দিচ্ছে- উলামা লীগ ও দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের নিয়ে তা কঠিনভাবে রুখে দিবে ইনশাআল্লাহ!
সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- পীরজাদা, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল)। বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সহ সভাপতি- মাওলানা মুহম্মদ শোয়েব আহমেদ গোপালগঞ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক- হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সবুর মিয়া সহ-দপ্তর সম্মাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ মুজিবুর রহমান আল মাদানী, হাফেজ ক্বারী মুহম্মদ শাহ আলম ফরাজী, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, হাফেজ মুহম্মদ আব্দুল বারী, কারী মাওলানা মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আল কাদেরী, আলহাজ মুহম্মদ খোরশেদ আলম রেজভী, কাজী অধ্যাপক মাওলানা মুহম্মদ নোমান চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আল আমীন, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম সিদ্দীকি আল কুরাইশি, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সোবাহান, মাওলানা মুহম্মদ ওমর ফারুক গোপালগঞ্জী, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুর রব-সা:সম্পাদক শ্রীনগর উপজেলা ওলামা লীগ, মাওলানা মুহম্মদ মাহবুব আলম, কাজী মাওলানা মুহম্মদুল্লাহ, মাওলানা মুহম্মদ মোকাম্মেল হুসাইন চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার। মিছিল শেষে শহীদ বঙ্গবন্ধু রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রূহের মাগফিরাত কামনা করে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হায়াতে তৈয়বার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply