১৫ মে ২০২৪ / ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:৪৪/ বুধবার
মে ১৫, ২০২৪ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

করোনায় দেশের সর্বস্তরের মানুষ প্রণোদনা পাবে: প্রধানমন্ত্রী

     

মহামারি করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অভিঘাত মোকাবিলায় দেশের সর্বস্তরের মানুষকে প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ইতোমধ্যে আমরা প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। এই প্রণোদনা দেশের সর্বস্তরের মানুষ পাবে। দেশের শিল্প কারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে সচল থাকে আমরা সেই ব্যবস্থাও নিয়েছি।’ এজন্য এ বছর জিডিপির ৩.৩ শতাংশ এই বিশেষ প্রণোদনা খাতে ব্যয় করা হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রণোদনা শুধু এখনকার জন্য নয়। আমরা মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থাৎ আগামী তিন অর্থবছর মেয়াদি যে পরিকল্পনা সেটাই নিচ্ছি। যাতে প্রত্যেকেই এই করোনা ভাইরাসের দুঃসময়টা অতিক্রম করে আবারও ব্যবসা-বাণিজ্য ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারে।

করোনা ভাইরাসের মহামারিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে বলেও আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে শুধু বাংলাদেশ বলে না, পুরো বিশ্বেই কিন্তু এর একটা প্রভাব পড়বে। কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা সুরক্ষিত রাখতে চাই। সেজন্য আমরা কৃষি উৎপাদন, খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোর দিচ্ছি। যাতে করে মানুষের কোনও কষ্ট না হয়। সে লক্ষ্যেই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ যেন সহায়তা পায় সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যাতে প্রত্যেকের ঘরে ত্রাণ সহযোগিতাটা পৌঁছে যায়।’

এসময় তিনি রেশন কার্ডে ৫০ লাখ মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহের যে তালিকা সরকারের কাছে রয়েছে, তার পাশাপাশি যারা তালিকার বাইরে আছেন তাদের জন্যও কার্ড তৈরির উদ্যোগের কথা জানান।

করোনা মোকাবিলায় চলমান লকডাউনে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা রাতের বেলা প্রতিটি বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। যাতে কেউ ভিড় না করে। যাতে মানুষ একসাথে জড়ো না হয়। যাতে কেউ করোনায় আক্রান্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এ পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতিবাজদের আবারও হুঁশিয়ারি করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যদি কেউ ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করার চেষ্টা করে তবে সে যে দলেরই হোক, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই রিলিফ দেয়া নিয়ে যদি কোনও রকম সমস্যা হয় সাথে সাথে আমরা কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটা জায়গায় সমস্যা পেয়েছি। তবে এটা খুব বেশি না।’

মহামারি করোনা ভাইরাসে দেশের এই সংকটকালে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত না থেকে হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা শুধু সমালোচনাই করে যাচ্ছেন, তারা মানুষকে কোনও সহায়তা করছে না। সমাজের যারা বিত্তবান আছেন তাদের আমার অনুরোধ, আপনারা ভিড় এড়িয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন।’

এসময় ত্রাণ দিতে আসা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply