জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

শিশির সিক্ত সকাল আর ডুবন্ত সন্ধ্যায় বধুর ন্যায় গোমটা টেনে নিস্তেজ পড়ন্ত বিকাল বেলায়।
সপ্তরঙ্গে বর্ণিল আকাশ সেজে গুজে মেঘপুঞ্জ আলিঙ্গন করে।বিরহী রজনী সৃষ্টির,আকাঙ্খায়।।
প্রলয় নৃত্যগীত গেয়ে বুকের উষ্নতায় মাতাল হাওয়ায়
জড়িয়ে আলিঙ্গন করে সজোড়ে প্রসব বেদনায়। তমাছন্ন ধরনীর,বুকে স্বপ্নালু হ্রদয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন নয়নে,
প্রসবন সেরে রক্তিম সূর্যের স্বর্ণালী আভায়
স্নানোৎসব শেষে অবশেষে মাছরাঙা
পাখির ন্যায় সপ্তরঙ্গে, সপ্তাকাশে ডানামেলে উড়ে যায়।
সুদুর নিলীমায়।

বুকের ভিতরে অগ্নিগিরির লাভা যেন উদগীরন করে,
দুনয়নে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার অনন্ত ছায়াপথ ধরে।
আমি একাকি নির্জনে বেদনার বালুচরে বসে নিমজ্বিত হই উদ্ধুৎ চিন্তায়।
পথের মাঝে পথ হারিয়ে
গ্রহতারা ছাড়িয়ে উত্তপ্ত বালুকণায়,
বিচ্ছেদী গান গেয়ে যাই, আশেপাশে কেউ নাই,
আকাশের বুকে বিদ্যুৎ চমকায়।
প্রদীপ নিভে যায় আকস্মিক ধমকা হাওয়ায়।
চর্তুদিকে দেখি শুধু মরুভুমি,অন্ধকারে সব ডুবে যায়। অজানা শঙ্কায়,রাত কাটায়।

লেখক: অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অবঃ)
কবি,ও সাহিত্যিক, গীতিকার।