প্রসঙ্গ আনোয়ারা সমিতি:নিজস্ব পরিচিতি বা লাভের আশায় থাকলে কখনো একটা সমিতি সমাজের উপকারে আসেনা
জিল্লুর রহমান
একান্ত নিজস্ব ভাবনা থেকে শুরুতেই শ্রদ্বেয় বড় ভাই, গুণীজন , মুরব্বী , সহপাঠী সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে দুইটা কথা লিখলাম আশাকরি নেগেটিভলি না নিয়ে বিষয়গুলো চিন্তা করবেন সকলেই । ঢাকায় আনোয়ারাবাসীর সেতু বন্ধনে একটা সমিতি করা হল যার নাম “আনোয়ারা সমিতি “ যারা এই সমিতি কষ্ট করে করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ । আমার সুযোগ হয়েছে বহুদিন সম্পৃক্ত থেকে কিছু কাজ করার তবে একটা জিনিস আমি কখনো ভালভাবে মেনে নিতে পারিনি যেমন আমি বুঝলাম এই সমিতির কাজ হল বছরে একবার একটা মেজবান আর অভিষেক করা আর এই মহা অনুষ্টানের জন্য বিশাল অংকের নানা জায়গায় থেকে টাকা উঠানো কিন্ত দূর্ভাগ্য নাকি আনোয়ারার বেশীরভাগ মানুষই কখনো খাবার পায়নি । আমি একবার প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে এই সমিতির মাধ্যমে সামাজিক কিছু কর্মকান্ড চালানোর যেমন আনোয়ারায় শিক্ষা , স্বাস্হ্য সেবা এবং প্রফেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য যদিও সবাই সম্মতি দিয়েছিল কিন্ত পরবর্তিতে আসলে কারো আগ্রহ দেখলাম না । আনুষ্ঠানিক সমিতি করে নিজস্ব পরিচিতি বা লাভের আশায় থাকলে কখনো একটা সমিতি সমাজের উপকারে আসেনা । বাদই দিলাম সামাজিক কাজ আসুন চিন্তা করি আমাদের আনোয়ারার বেকার ছেলে মেয়েদের কথা যারা সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়েও বেকার অথচ আমাদের আনোয়ারার অনেক বড় বড় ধনবান ব্যবসায়ী এবং পদ- পদবীধারী আমলা পর্যায়ের লোক আছেন যারা চাইলে যেকোন মন্ত্রানালয়ে নিজের এলাকার ২/৪ জন ছেলেকে প্রতিটা নিয়োগেই সুপারিশ করতে পারেন যা একটা সমিতি চাইলে নিজ উদ্দোগ্ শিক্ষিত ছেলেদের যথাযত ট্রেনিং দিয়ে যোগ্য করে সুনির্দিষ্ট ব্যাবসায়ি বা আমলাদের সুপারিশ করতে পারেন যা হলে সরকারী যেকোন অফিসে ২/৪ জন আনোয়ারার ছেলে/মেয়ে ঢাকায় থাকার কথা কিন্ত আমরা কি করছি হয়ত ব্যাক্তিগতভাব করছি অথবা কাউকে দান করে নিজের পরিচয় জাহির করছি কিন্ত একটা সমিতি/ অর্গানাইজেশন যদি সম্মিলিত উদ্দ্যোগ নেন যে আগামী ৫ বছরে আমরা ৫০০ ছেলে/মেয়েকে যোগ্য করে তুলে যেকোন সেক্টরে কাজে লাগাব তাহলে অসম্ভব কিছুই নয় । নিজরাই সিলেকশান করে আনোয়ারার যারা আমলা পর্য়ায়ে বা ব্যবসায়িক পর্যায়ে আছেন তাদের সুপারিশ করতে পারি তবেতো আমাদের বেকার সমস্যায় সমিতি একটা বিশাল ভুমিকা রাখতে পারে যা বছরে একটা মেজবান বা একটা অভিষেকের চেয়ে অনেক বড় কাজ বলেই আমি মনে করি কারন একটা বেকার ছেলেকে/মেয়েকে চাকরি দেওয়া মানে একটা পরিবারকে প্রাণ দেওয়া এবং তার মাধ্যমে আরো দশ পরিবারকে সাহায্য করা যা যেকোন সাহায্যর চেয়ে অনেক বড় । আমার এই লিখা কটাক্ষ করে বা সমিতিকে অসম্মান করে নয় বরং একটা দায়িত্ববান সমিতি যারা অভিভাবকের ভুমিকায় আগামী দিনে নিজের এলাকার জন্য একটা বিশাল সামাজিক সংগঠন হবে তাঁরই জন্য লিখা। এই ব্যাপারে যেকোন আইডিয়া এবং তা বাস্তবায়নে যেকোন ধরনের পরামর্শ সহযোগিতা করতে আমি সবসময় প্রস্তুত তবে অর্থ দিয়ে হয়ত তেমন কিছুই করতে পারব না ।আশাকরি বিষয়টা সবাই পজিটিভলি নেবেন । আসুন না একবার চিন্তা করি আমাদের ছেলেমেয়েদের বেকারমুক্ত করি ।