কথা কাটাকাটির জেরে পেয়ারা বিক্রেতাকে পিটিয়েছেন পুলিশ
মোহাম্মদ মনির কর্ণফুলী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
কথা কাটাকাটির জেরে পেয়ারা বিক্রেতাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। এতে অণ্ডকোষে গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ওই পেয়ারা বিক্রেতা। জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জ্যেরটেক এলাকায় সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে এক পেয়ারা বিক্রেতাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জায়িদ আজিজ। জানা যায়, এএসআই জায়িদ আজিজের সঙ্গে পেয়ারা বিক্রেতা মোহাম্মদ আলীর (৪৫) পেয়ারার দরদাম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তার জের ধরে পেয়ারা বিক্রেতা আলীকে মারধর করা হয়। জায়িদ আজিজ নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনে কর্মরত আছেন। ওইসময় মারধরের শিকার পেয়ারা বিক্রেতা মোহাম্মদ আলীকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। পরে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে মোহাম্মদ আলীকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন গেলে চমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, আহত পেয়ারা বিক্রেতা আলীর অণ্ডকোষে আঘাত হয়েছে। তিনি হাঁটতে পারছেন না ভালোমতো। তবে তার শরীরের বাইরের অংশে কোথাও জখমের চিহ্ন নেই। বিষয়টি স্বীকার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর জোন) এসএম মোস্তাইন হোসেন বলেন, এএসআই জায়িদের সঙ্গে এক পেয়ারা বিক্রেতার কথা কাটাকাটি হয়েছে। ওই পেয়ারা বিক্রেতাকে পু্লিশ সদস্যরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন।আরো বলেন,এএসআই জায়েদের বক্তব্য মতে তিনি পেয়েরা বিক্রেতাকে কলার ধরেছেন, মারধর করেননি। তবে সিসি ফোটেজ দেখে এএসআই জায়েদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্ণফুলী উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম বলেন, ‘পুলিশ সদস্য যে পেয়ারা বিক্রেতাকে মারধর করছেন, সেটি আমি দেখেছি।’ মইজ্জ্যেরটেকে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পু্লিশ সদস্য জানান, এ ঘটনার পর স্থানীয়রা মইজ্জ্যেরটেক মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টাও করেন। মইজ্জ্যেরটেক মোড়ে থাকা সিএমপির ট্রাফিক পু্লিশের বক্স ঘেরাও করেন তারা। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এএসআই জায়িদ আজিজের মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি কল কেটে দেন।