৩ মে ২০২৪ / ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:৫৩/ শুক্রবার
মে ৩, ২০২৪ ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

পেকুয়ায় ডাকাত ‘ছৈয়দ নুরকে’ পুলিশে সোপর্দ, ৪টি অস্ত্র উদ্ধার

     

এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী
কক্সবাজারের পেকুয়ায় উপকুলের কুখ্যাত ডাকাত সর্দার ছৈয়দনু ওরফে ডাকাত ছৈয়দ নুরকে পুলিশে সোর্পদ করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব)। র‌্যাব সদস্যরা তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে রাতে। এ সময় তার বাড়ি থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি অত্যাধুনিক এস.এম.জি, বিদেশী তৈরি একটি রিভলবার, একটি শুটারগান ও গুলাবরুদও রয়েছে। রাতে অভিযান শেষে তাকে র‌্যাবের হেফাজতে রাখা হয়। সোমবার সন্ধ্যার দিকে র‌্যাব সদস্যরা তাকে পেকুয়া থানায় সোর্পদ করে। গত ৩০এপ্রিল রবিবার রাত ৮টার দিকে র‌্যাবের হাতে আটক হন উপকুলের দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার ছৈয়দ নুর। উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা রাস্তার মাথা নামক স্থান থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ তাকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়া এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় এ সমস্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। র‌্যাব -৭এর চট্টগ্রাম এর স্কোয়াড লীডার শাখাওয়াত জাহান ফাহিম জানিয়েছেন ছৈয়দ নুরকে আটক করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি মতে বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। সিনিয়র এসপি মিফতাহ নুর, শাহিনা সোলতানা ও আমির উল্লাহর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি চৌকস দল ওইদিন রাতে অভিযান পরিচালনা করেন। তাকে সোমবার সন্ধ্যায় পেকুয়া থানায় হস্তানান্তর করা হয়েছে। র‌্যাবের নায়েক সুবেদার হারুনুর রশিদ বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় সোমবার রাতে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-০২/১৭। তিনি জানান ছৈয়দ নুর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ২৯টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তার ৩৬বছর সাজা হয়। ইদিন রাতে ছৈয়দ নুর সহ কিছু ডাকু প্রকৃতির লোক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদ পেয়ে আমরা এ পরিকল্পনা নসাৎ করেছি এবং তাকে আটক করা হয়েছে। র‌্যাব জানিয়েছেন ছৈয়দ নুরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তার সাজাও রয়েছে। প্রশাসন ও আইনকে ফাঁকি দিয়ে এসব মামলায় ফেরারী থাকলেও তিনি ছিলেন অধরা। এদিকে উপকুলের এ শীর্ষ ডাকাতকে আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারন মানুষের মাঝে স্বস্তিভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। রাজাখালী ইউনিয়নসহ পেকুয়ার সর্বত্রে মানুষ তার আটকের খবরে আনন্দিত হয়েছে। খোদ রাজাখালী ইউনিয়নে উল্লাস করেছেন সাধারন জনগন। বিভিন্ন স্থানে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অভিনন্দন জানিয়ে মিষ্টি মুখ করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ছৈয়দ নুর একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত ও সন্ত্রাসী। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে। রাজাখালী, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, মহেশখালীসহ বিভিন্ন প্রান্তের ডাকাত ও ফেরারী আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে কুতুবদিয়া চ্যানেল ও সাগরে জলদস্যুতায় লিপ্ত রয়েছে। তার দু’টি স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ফিশিং বোট সাগরে ডাকাতির সাথে জড়িত। রাজাখালী ও পেকুয়ার বিভিন্ন প্রান্তেও তার অনুসারি ডাকাতরা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত। তার কাছে জিম্মি ছিল রাজাখালীর হাজার হাজার মানুষ। ধারাবাহিক অপকর্ম চালিয়ে গেলেও মুখ খোলার সাহস ছিলনা কারো। র‌্যাব তাকে আটক করায় সাধারন মানুষের মন্তব্য হচ্ছে বেরিয়ে আসতে পারে থলের বিড়াল। রাজাখালীর লোকজন জানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসবে তার নিজের ও বাহিনী সদস্যদের সংশ্লিষ্ট অপরাধ জগতের অজানা কর্মকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply