২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:৩৯/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ

বৌদ্ধ ভিক্ষু-বিহার নিয়ে মিথ্যাচার, গৌতম বুদ্ধকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করায় রামুতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

     

রামু প্রতিনিধি
বৌদ্ধ ভিক্ষু-বিহার নিয়ে মিথ্যাচার, গৌতম বুদ্ধকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে রামুতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (৩০ এপ্রিল) বিকালে রামু উপজেলার চৌমুহনী ষ্টেশন চত্তরে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে, রামু বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদ।
গত ২৪ এপ্রিল জনকন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং প্রতিবেদক ফিরোজ মান্না’র শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন, রামু বৌদ্ধ ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু।
বৌদ্ধ যুব নেতা বিপুল বড়ুয়া আব্বু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন, রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ জ্যোতিসেন থের, মুক্তিযোদ্ধা রমেশ বড়ুয়া, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেড়ারেশন রামু’র সহ-সভাপতি দুলাল বড়ুয়া, রামু বৌদ্ধ যুব পরিষদের আহবায়ক রজত বড়ুয়া রিকু, কক্সবাজার সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক রবীন্দ্রনাথ বড়ুয়া, জগদ্বীশ বড়ুয়া পার্থ, ইউপি সদস্য রিটন বড়ুয়া প্রমূখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, যাদের উপর সাধারণ মানুষ সত্য এবং ন্যায় উদ্ধারের মত গুরু দায়িত্ব অর্পিত বলে বিশ্বাস করেন। সত্য সন্ধানী, জনগণের শেষ ভরসাস্থল মহান পেশার বাহক-ধারক সেই সমাজের এক সাংবাদিক ভাইয়ের বিরুদ্ধে আজ আমাদেরকে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদের আয়োজন করতে হয়েছে। আমাদের এই প্রতিবাদ কোন পেশার বিরুদ্ধে নয়, এই প্রতিবাদ কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আমাদের প্রতিবাদ দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় গত ২৪ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সর্বজীবের হিতকামী তথাগত গৌতম বুদ্ধকে “সন্ত্রাসী গৌতম বুদ্ধ” আখ্যায়িত করার বিরুদ্ধে। ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত ও ধর্মের চরম অবমাননাকর এই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক ফিরোজ মান্না’র শাস্তির দাবিতে আমাদের প্রতিবাদ সভা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটিসহ সারাদেশের সব বৌদ্ধ বিহার নিয়ে তিনি যে প্রতিবেদন করেছেন, তার যদি বিন্দুমাত্রও সত্যতা থাকে তাহলে তিনি তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তা প্রচার করতে পাারেন। এটা তার অধিকার এবং পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপে লিপ্ত হলে তথ্য-উপাত্ত এবং প্রমাণের ভিত্তিতে এর বিরদ্ধে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু তিনি মহামতি বুদ্ধকে ‘সন্ত্রাসী’ বলতে পারেননা। তিনি প্রতিবেদনে বুদ্ধ, বৌদ্ধ ধর্ম এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিয়ে মানহানিকর এবং অবমাননাকর বিভিন্ন কথা লিখেছেন।
জনকন্ঠের মত একটি পত্রিকা কোন ধর্মের চরম অবমাননাকর এবং চরম স্বেচ্ছাচারিতাদুষ্ট এই প্রতিবেদন কোন ধরণের সম্পাদনা ছাড়া-ই প্রকাশ করল! নাকি কর্তৃপক্ষ জনাব ফিরোজ মান্না’র এই প্রতিবেদনের দায়িত্ব নিয়ে এমন গর্হিত

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply