অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সর্বভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠক সুরেশ চন্দ্র সেনের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সর্বভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠক, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের বীরযোদ্ধা, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সৈনিক, দেশপ্রেমিক, সমাজসংস্কারক, বিট্টিশবিরোধী আন্দোলনে দশ বছর কারা নির্যাতিত নেতা, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, আইনবিদ বিপ্লবী সুরেশ চন্দ্র সেনের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আলোচনা সভা ১ মে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর মোমিন রোডস্থ একটি রেস্টুরেন্টে ইতিহাস গবেষক সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রবীণ এই বিপ্লবীর জীবনকর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক এ কে এম আবু ইউসুফ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস কুতুবী, অধ্যাপক দিদারুল আলম, মোহাম্মদ আবদুর রহিম, সাংস্কৃতিক সংগঠক হারাধন নাথ, ডা. বিমল তালুকদার, সজীব কান্তি দত্ত প্রমুখ। বিপ্লবী সুরেশ চন্দ্র সেন ১৯০৫ সালে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ আন্দোলনে অংশ নেন। বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের সাথে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ঐ সময় তিনি দশ বছর কারাবরণ ও কারা নির্যাতনে শিকার হন। বাংলা মায়ের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলা রক্ষা করতে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে এদেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও উপকূলীয় এলাকার মানুষকে বাঁচাতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর সাথে দেশের জন্য কাজ করেন। ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত নেতা ছিলেন আমাদের গর্বের প্রতীক বিপ্লবী সুরেশ চন্দ্র সেনের সহকর্মী। চট্টগ্রামের ইতিহাসের কালজয়ী মনীষীদের নামের তালিকায় তাঁর নাম অন্যতম। তিনি চট্টগ্রামের ইতিহাসে উদ্ভাসিত পুরুষ। তাঁর প্রয়াণ বার্ষিকীতে তাঁর প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সভায় বিপ্লবী সুরেশ চন্দ্র সেনের বিপ্লবী জীবনের প্রতি সম্মান ও এই প্রজন্মকে জানানোর লক্ষ্যে তাঁর নামে একটি সড়কের নামকরণের দাবি জানানো হয়।