৭ মে ২০২৪ / ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:২১/ মঙ্গলবার
মে ৭, ২০২৪ ৮:২১ অপরাহ্ণ

সেন্টমার্টিনকে নিজেদের বলে দাবি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব

     

সেন্টমার্টিনকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার নিজেদের বলে দাবি করার চেষ্টা করছে। মিয়ানমার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (এমআইএমইউ) নামের দেশটির সরকারি একটি ওয়েব সাইটের মানচিত্রে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকেও মিয়ানমারের মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।বিষয়টি জানতে পেরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক) অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা মো. খুরশেদ আলমের দফতরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করা হয়। রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও প্রায় ১ ঘণ্টা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছিলেন।কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে ডেকে এনে বলা হয়, মিয়ানমার সরকার গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাচ্ছে। মিয়ানমার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের বলে প্রচার করছে, যা খুবই আপত্তিজনক। মিয়ানমার যদি এমন আপত্তিজনক কাজ চালিয়ে যেতে থাকে তবে বাংলাদেশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।এ সময় রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’র হাতে একটি কূটনৈতিক চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়। যাতে সেন্টমার্টিন যে বাংলাদেশের অংশ তার পূঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণ রয়েছে। পাশাপাশি ওই চিঠিতে মিয়ানমারের এমন আপত্তিকর কাজের জবাবও চাওয়া হয়।মিয়ানমার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (এমআইএমইউ) নামের দেশটির সরকারি একটি ওয়েব সাইট রয়েছে। ওই সাইটে গিয়ে দেখা গেছে, দেশটির জাতীয় খানা জরিপ শেষে যে পরিসংখান উপস্থাপন করা হয় তাতে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের মধ্যে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খানা জরিপে সেন্টমার্টিনের অধিবাসীদের মিয়ানমারের নাগরিক বলে দেখানো হয়। মিয়ানমারের মানচিত্রের রঙের সঙ্গে সেন্টমার্টিনের রঙ মিশিয়ে দেয়া হয়েছে, এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সীমানা মানেনি দেশটি।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ১৯৩৭ সালে মানচিত্রে সেন্টমার্টিন ভারত উপমহাদেশের অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর সেন্টমার্টিন ওই সময়ের পাকিস্তান অংশে ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়েও সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের অংশে ছিল।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply