৮ মে ২০২৪ / ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:৪৫/ বুধবার
মে ৮, ২০২৪ ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদের সভা

     

২৯ মে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় আন্দরকিল্লাহ মোজাহের ভবনস্থ হল রুমে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।  সাধারণ সম্পাদক এম. নুরুল হুদা চৌধুরী সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু। প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট, লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কালাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা এড. বাসন্তী প্রভা পালিত, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: আবদুর রহিম, চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এম. আলী হোসেন, শারদাঞ্জলি ফোরাম চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অজিত কুমার শীল, কর্ণফুলী আওয়ামী লীগের এডহক কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবি শবনম ফেরদৌসী, সাতকানিয়া কালিয়াইশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির, যুবলীগ নেতা মো: মোরশেদ চৌধুরী বাহাদুর, আনোয়ারা ক্লাবের সভাপতি কে.এইচ.এম তারেক, মহাজোট নেতা স্বপন সেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেন্টাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক কবি আসিফ ইকবাল, বিজয়’৭১ এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আর.কে রুবেল, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ রতন দাশ, জয় বাংলা শিল্পী গোষ্ঠী’র সভাপতি কবি সজল দাশ, প্রাণের চট্টগ্রাম সামাজিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামাল হোসেন, নারীনেত্রী রুমকি সেনগুপ্তা, সৈয়দা শাহানা আরা বেগম, শিপ্রা দাশ, চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভানেত্রী সোমিয়া সালাম, যুবলীগ নেতা রাশেদ মাহমুদ পিয়াস, আবদুল মান্নান, অচিন্ত্য কুমার দাশ, নিপুল তাপস বড়ুয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাঙালি চেতনায় আর মুক্তিযুদ্ধে নজরুলের গান, কবিতা, গল্প উজ্জীবিত করেছিল। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নজরুলের রণসংগীত ও বিভিন্ন লিখনী তৎকালিন লাঞ্চিত-নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষকে প্রতিবাদী হওয়ার সাহস যুগিয়েছিল। অত্যন্ত দারিদ্রতার মাঝে বেড়ে উঠা দুখুমিয়া কখনো মসজিদের ইমাম, কখনো রুটির দোকানের কর্মচারী, কখনো সৈনিক সর্বোপরি নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠ,  বিশ্বের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর। ব্রিটিশ শাসকরা নজরুলকে বন্দীশালায় আটকে রেখে এবং বাকরুদ্ধ করেও তাঁর বিদ্রোহী লিখনী থামাতে পারেনি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে, বইগুলো লিখেছেন তা বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবইয়ে স্বীকৃতি পেয়েছে। নজরুলের সাহিত্য চর্চা এপার ও ওপার বাংলার মানুষের অন্তরের সেতুবন্ধন হিসেবে চিরদিন জাগ্রত রাখবে। মহান স্বাধীনতার পর কবিকে বাংলাদেশে এনে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি ঘোষণা করেন। পরে কবির ইচ্ছেতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে কবিকে সমাহিত করে কবির শেষ ইচ্ছে পূরণ করেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply