৩ মে ২০২৪ / ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:২৫/ শুক্রবার
মে ৩, ২০২৪ ৯:২৫ অপরাহ্ণ

বন্ধুত্বের মধ্য কোনো ভেদাভেদ নেই

     

আজহার মাহমুদ
আমাদেরে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল প্রতিষ্টানে ছেলে এবং মেয়ে একসাথেই পড়ালেখা করে থাকি। সকলেই একে অন্যের্ বন্ধু। একজন ছেলেকে যেভাবে আমাদের দেখা উচিৎ একজন মেয়েকেও সেভাবে দেখা উচিৎ আমাদের। বন্ধুত্বে মধ্যে নেই কোনো বৈষম্য। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিষয়টা বেশ জঠিল। এখন সকল ছেলেদের মানসিকতা যে ভালো সেটা আমি হলফ করে বলতে পারছিনা। এখনকার ছেলেমেয়েদের বন্ধুত্ব আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো পর্যায়ে আছে এটা যেমন শিকার করতে হবে, তেমনি এখনকার কিছু কিছু ছেলে তার মেয়ে বন্ধুর প্রতি ভিন্ন দৃষ্টি দিয়ে তাকায় এটাও আমাদের মানতে হবে। এটি একটি মনস্তাত্বিক ব্যাপার। সকল ছেলেই যে তার সহপাঠিনির প্রতি ভালো দৃষ্টি দিয়ে দেখছে এটা কিন্তু সঠিক নয়। আমরা হয়তো শিক্ষা নিচ্ছি প্রচুর, কিন্তু তার ফলস্বরূপ কিন্তু আমরা তেমন কোনো আচরণ করছিনা। এখনকার সময়ে দেখা যায় একটি মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছে তার অসংখ্য সহপাঠি। আসলে এটা আমাদের মানসিকতার একটি বিষয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না করলে এটা থেকে বের হয়ে আসা কখনোই সম্ভব না। আমার মতে এর জন্য পারিবারিক শিক্ষা অনেকখানি গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের মনমানসিকতা ভালো থাকলে তাদের সহপাঠিনীরা অবশ্যই তাদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব করবে। এডিয়ে যায় সেসব ছেলেদের যাদের মন-মানসিকতা, দৃষ্টিভঙ্গি কিংবা অঙ্গভঙ্গি থাকে অশ্লীল। আচরণের মাধ্যমে বুঝা যায় কার মানসিকতা কেমন। আমাদের শিক্ষাঙ্গনে এখন এই সমস্যাটা বেড়েই চলছে। আর এর জন্য ৯০ শতাংশ দায়ী ছেলেরাই। তারা শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাই তাদের সহপঠিনীদের পছন্দ করার জন্য। তারপর সেই সহপাঠিনীকে একদিন গিয়ে বলবে “আমি তোমাকে ভালোবাসি”। যেকোনো প্রকারে সহপাঠিনীকে সেটা বলবেই। এত করে অনেক সময় ছেলে মেয়ে উভয়ের সম্পর্ক খারাপের দিকেও চলে যায়। অনেক সময় দেখা যায় তার সহপাঠিনী প্রস্তাবটি না করে দিলো তখন ছেলেটি মেয়েটিকে নানান ভাবে নিপীড়ন মূলক আচরণ করছে। অনেক সময় ইভটিজিং এর শিকারও হতে হয় এসব মেয়েদের। এটাই এখনকার শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছেলেদের মূল কাজ। তবে সবছেলেরা আবার এমন সেটা কিন্তু মোটেও নয়। কিছু কিছু বন্ধুত্ব রয়েছে যাদের মধ্যে ছেলে মেয়ে সকলেই থাকে এবং সকলেই একতাবদ্ধ। নেই কোনো অশ্লীল মন্তব্য, নেই কোনো অশ্লীল দৃষ্টিভঙ্গি। এমন বন্ধুত্বও রয়েছে অনেক অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টানে। তবে খুব কম সংখ্যক ছেলে তাদের সকল সহপাঠিনীদের বোন কিংবা বন্ধু হিসেবে দেখে। এসকল সমস্যার জন্য নিজেদের মানসিতা পরিবর্তন করাটাই অতীব জরুরী বলে আমি মনে করি। অনেক অনেক ক্ষেত্রে এটি বয়সের প্রভাবও হতে পারে তবে মানসিকতা ঠিক রাখলে সবকিছুই ঠিক রাখা যায় বলে আমার বিশ্বাস।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply