”প্রবর্তক এলাকায় কোমর সমান পানি “ বর্ষার প্রথম জল দূর্ভোগ-নালা ও ড্রেনের পানি মেইন সড়ক দিয়ে গড়াচ্ছে
হোসেন বাবলা
সারা দেশে দক্ষিণ দিকে মৌসুমী বায়ূর প্রভাবে বন্দর নগরীতে সকাল ১১টা থেকে প্রবল বৃষ্ঠিতে আবারো বিভিন্ন এলাকায় কোমর সমান পানি জমে জলাবদ্ধতার মতোই সৃষ্ট হয়েছে জলযট!
অনেকটাই মোষল ধারে বৃষ্টির মতোই ১/২ঘন্টা থেমে থেমে কখনো জড়ো আবার কখনো ধীরালয়ে বৃষ্টির ফলে প্রবর্তক এলাকায় ১/২ঘন্টার জন্য তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে ।চট্রগ্রাম আমবাগান আবহাওয়া ভবন ও পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে সকাল থেকে বিকেল৫টা পর্যন্ত প্রায় ৩শত-৩,২৫মিলি মিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছেন এবং কাল(বুধবার) সকালের দিকে ও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান।
তাছাড়া মৌসুমী বায়ূ চলমান থাকায় দেশের সমূদ্র বন্দর সমূহ কে ৩নম্বর সর্তক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এসময় মাছ ধারর নৌকা-টলার,বোর্ড, ছোট্র ছোট্র ডিঙ্গি নৌকা গুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তীরে থাকতে বলা হচ্ছে।
এদিকে বর্ষার প্রথমেই আজ বন্দরনগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় কোমর সমান পানি জমে জলযট সৃষ্টি হয়েছে । এতে করে দিন মজুর-খেটে খাওয়া মানুষের যন-জীবনে দূর্বিষ উঠে। আটকা পড়েন দৈন্দদিন কাজের শেষে বাড়ী ফেরার এবং চলাচলেও ।
সবচেয়ে বেশী দূর্বিষ চিত্র দেখা গেছে নগীর পাহাড়ী চত্তর খ্যাত প্রবর্তক মোড়ে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকোল ৩টা পর্যন্ত বর্ষার প্রথমই কোমর সমান পানি জমে জলযট সৃষ্টি হয়েছে এই ডাক্তার পাড়াটি। এই সময় রোগীবাহী গাড়ী সহ সকল ধরনের যান চলাচল এবং জন –মানবও থমকে যাই। পানি স্রোত এতোই বেশী ছিল যে,মোটর সাইকেল,রিক্সা-টেক্সী,সিএনজি সহ ভ্যান-ঠেলাগাড়ী ও স্রোতে নালায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এছাড়ানগরীর জিইসি মোড়ে নালা-ড্রেনের পানি প্রধান সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত দেখে অবাক লাগলো যে,কোটি টাকা দিয়ে নালা-ড্রেন তৈরি করে চসিক কি করেছে..? ওয়াসামোড়,দেওয়ান হাট,আগ্রাবাদ-হালিশহর,এক্সসেস রোড,চৌমুনী, বারেক বিল্ডিং মোড় ,কাস্টম মোড়,সিইপিজেড মোড় সহ সর্বত্র নিচু এলাকা কোমড় সমান এই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ছিল প্রায়২/৩ঘন্টা।
বিকেল এই বিষয়ে চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে কাজে বেরিয়ে পড়েছেন বলে মুঠো ফোন রেখে দেন। বিষয় টি দ্রুত নজর না দিলেই সামনের বর্ষাতে নগরবাসী কে অবর্ননীয় দূর্ভোগ পোহাতে হবে।