৬ মে ২০২৪ / ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:৩০/ সোমবার
মে ৬, ২০২৪ ১:৩০ অপরাহ্ণ

স্টুডেন্টস রাইটস এ্যাসোসিয়েশনের বনভোজনের ওই দিনটি

     

মোঃউমর ফারুক,রাবি

সেদিন ছিল শনিবার, ভার্সিটি বন্ধ ছিল। রাতে সেই ঘুম।হঠাৎ!!! ভাইয়ের ফোন এসে সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেল। ফোন রিসিব করতেনা করতেই ভাই বলে উঠলেন কিরে তুই কোথায়? তখন মনে পড়ে গেল ওহ!!! আমাদের স্টুডেন্টস রাইটস এ্যাসোসিয়েশন বার্ষিক পিকনিক তো আজ, ভাই বলল খুব তাড়াতাড়ি ইবলিশ চত্বরে আস।ভাইকে বললাম আচ্ছা আমি আসছি।তাড়াহুড়ু করে ফ্রেশ হয়ে হল থেকে বেড়িয়ে পরলাম পিকনিকের উদ্দ্যেশ্য, , শার্ট ও প্যান্ট ইস্ত্রীও করতে পারিনি।আমাদের পিকনিক বলে কথা। ক্যাম্পাসে হেঁটে হেঁটে চলে এলাম ইবলিশ চত্বরে,নাম শুনলেই আমার ভয় লাগে ।আমি এক ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি এর নাম ইবলিশ কেন? এখানে কি শয়তানের কারখানা নাকি??? বলে আরে ওসব কিছুনা,যাহোক যা নিয়ে ভয় করেছিলাম সেটা গেল। এবার দেখি ভাইয়েরা সবাই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত,কেও রান্না কাজে সাহায্য করছে, কেউ পিকনিক স্পটের চারদিক পর্দা দিয়ে ডেকে দিচ্ছে,আবার কেউ মাইক স্পিস নিয়ে বড্ড হাসাহাসি মাতুয়ারা,পিকনিক বলে কথা।এরপর আমাদের বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা শুরু করা হয়েছে, প্রথমে ছেলেদের হাড়ি ভাঙ্গা, এসময় আমাদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহীন জহুরা ম্যাম এসে উপস্থিত হলে,আনন্দের মাত্রা আরো দ্বিগুণ যুক্ত হল। একে একে সবাই অংশগ্রহণ করলো,এবার আমার পালা চোখে রুমাল বেধেঁ দিল, হাঁড়ি কিন্তু ভাঙ্গতে হবে। কনফিডেন্টস ছিল পারব কিন্তু কাছে গিয়ে ভাঙ্গতে পারলামনা,সবাই কি হাসাহাসি।খুব আনন্দ পেয়েছিলাম বটে।দুঃখের বিষয় হল ছেলেরা কেউ হাড়ি ফাটাতে পারলনা। বিষয়টা এমন যে,  (মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে আমি আর বাইতে পরলামনা)।কি আর করা এবার মেয়েদের পালা, কথায় বলে না? লেডিস ফাস্ট সেটাই হল এবার,প্রথম প্রতিযোগি হাড়িটা ভেঙ্গে দিল।সবাই অবাক!!  ঐ একজনই পেরেছিল হাড়ি ফাটাঁতে।এবার বালিঁশ খেলা ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই শুরু হল মিউজিকের সাথে। পিকনিকের প্রধান উপদেষ্টা ম্যাম ও আমাদের সঙ্গে খেলায় অংশ গ্রহণ করলেন।বাঁলিশ এমন ভাবে ছুড়তে হবে মিউজিক যখন থামবে থামা অবস্থায় যার হাতে বালিশ থাকবে সেই বাদ পড়বে খেলা থেকে। এভাবেই চলতে থাকল এক পর্যায়ে আমাদের সবার প্রিয় ম্যাম এই ইভেন্টে প্রথম হলেল, সবাই কি আনন্দ বলে বুঝাতে পারবনা।ম্যাম ও আনন্দের জোয়ারে উচ্ছ্বাসিত, প্রথম হলে যা হয় আরকি। প্রথম হয়েছে বলে কথা   পুরস্কার ১টাকার হোক তাতে সমস্যা নাই। এরপর শুরু হল,  বিশেষ জোকস পর্ব বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জোকস আয়োজন

 আহারে দম ফেটে যায় এরকম অবস্থা আমাদের প্রিয় জাবেদুল ইসলাম মণি ভাই মেয়েদের পশ্চিমপাড়া নিয়ে মেয়েদের হলে সামনে গেলে নাকি মন স্বাস্থ্য ভাল থাকে, পশ্চিম পাড়াকে উপমহাদেশ ঘোষনা করা হোক ইত্যাদি ইত্যাদি.. জোকস করে ফাস্টই হলেন।সে কি হাসি!!! দম ফেটে যাচ্ছে।হাহাহা !!!!!! এখনও  বড্ড হাসিঁ পাচ্ছে। এবার আমাদের মাঝে কিছু অতিথি আসলেন এবং সংগঠনটির আহব্বায়ক সদস্যরা শ্রদ্ধেয় অতিথিদের কে শুভেচ্ছা পুরস্কার তুলে দিলেন। এ সংগঠন নিয়ে তারাঁ বেশ কিছু কথা বললেন, যে এই সংগঠন একদিন সারা দেশ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে?আারও নানা দিকনির্দেশাও দিলেন কিভাবে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।আমারও খুব ভাল লাগছিল, তাই একটু মনোযোগী হয়ে শুনলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম তুষার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সভাপতি মোস্তাফিজ রনি,প্রমুখ।
এর পর পরতো বিকেলের দিকে শুরু হল আমাদের খাওয়ার প্রোগ্রাম। খুব ক্ষুধা লেগেছে সকালে কিছুই খাইনি পিকনিকে ভালো ভাবে খাব বলে।সবাই খারার নিয়েও হাসাহাসি করছে  কে বেশী খায় আাবার কে দাতঁ বের করে খাচ্ছে আারও নানান চিত্র এগুলোর জন্য তো ফটোগ্রাফার তো আছেই,সব জায়গাই শুধু পিক আর  পিক,মূলত আনন্দতো ।এবার খাওয়ার পালা শেষ, এখন লটারি র্যাফেল ড্র, হুহুহু!!! কে পাবে এই লটারী পুরস্কার, অনেকে ১০/১২ করে টিকিট ক্রয় করেছে।সবার মতই আমিও খুবই উৎকন্ঠার মধ্যে ছিলাম, কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে যা হয় আর কি। অনেকেই বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছে। একপর্যায় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শেষ পর্যায় এসে পৌছেঁ। আহ্বায়ক কমিটির সাকিব ও মণি ভাইয়ের ঘোষনার মধ্যে দিয়ে পিকনিকের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষনা করা হল। এক কথায় অসাধারণ কেটেছে আমার পিকনিক সেই মুহূর্ত গুলি।কখন ভুলার মত না।আসলে বিশ্ববিদ্যালয় এসে বড় ভাই আপু, বন্ধু বান্ধবীদের সাথে আড্ডা, মাস্তি, ড্যান্স, হৈ চৈ করে কাটিয়েছি সে সময় কখনও ভুলার মত নয়।অনেক স্পেশাল দিনটির মধ্যে অন্যতম ছিল দিনটি।আমি সত্যিই অনেক অনেক বেশী মিস করব পিকনিকের ঐ দিনটিকে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply