স্টুডেন্টস রাইটস এ্যাসোসিয়েশনের বনভোজনের ওই দিনটি
সেদিন ছিল শনিবার, ভার্সিটি বন্ধ ছিল। রাতে সেই ঘুম।হঠাৎ!!! ভাইয়ের ফোন এসে সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেল। ফোন রিসিব করতেনা করতেই ভাই বলে উঠলেন কিরে তুই কোথায়? তখন মনে পড়ে গেল ওহ!!! আমাদের স্টুডেন্টস রাইটস এ্যাসোসিয়েশন বার্ষিক পিকনিক তো আজ, ভাই বলল খুব তাড়াতাড়ি ইবলিশ চত্বরে আস।ভাইকে বললাম আচ্ছা আমি আসছি।তাড়াহুড়ু করে ফ্রেশ হয়ে হল থেকে বেড়িয়ে পরলাম পিকনিকের উদ্দ্যেশ্য, , শার্ট ও প্যান্ট ইস্ত্রীও করতে পারিনি।আমাদের পিকনিক বলে কথা। ক্যাম্পাসে হেঁটে হেঁটে চলে এলাম ইবলিশ চত্বরে,নাম শুনলেই আমার ভয় লাগে ।আমি এক ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি এর নাম ইবলিশ কেন? এখানে কি শয়তানের কারখানা নাকি??? বলে আরে ওসব কিছুনা,যাহোক যা নিয়ে ভয় করেছিলাম সেটা গেল। এবার দেখি ভাইয়েরা সবাই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত,কেও রান্না কাজে সাহায্য করছে, কেউ পিকনিক স্পটের চারদিক পর্দা দিয়ে ডেকে দিচ্ছে,আবার কেউ মাইক স্পিস নিয়ে বড্ড হাসাহাসি মাতুয়ারা,পিকনিক বলে কথা।এরপর আমাদের বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা শুরু করা হয়েছে, প্রথমে ছেলেদের হাড়ি ভাঙ্গা, এসময় আমাদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহীন জহুরা ম্যাম এসে উপস্থিত হলে,আনন্দের মাত্রা আরো দ্বিগুণ যুক্ত হল। একে একে সবাই অংশগ্রহণ করলো,এবার আমার পালা চোখে রুমাল বেধেঁ দিল, হাঁড়ি কিন্তু ভাঙ্গতে হবে। কনফিডেন্টস ছিল পারব কিন্তু কাছে গিয়ে ভাঙ্গতে পারলামনা,সবাই কি হাসাহাসি।খুব আনন্দ পেয়েছিলাম বটে।দুঃখের বিষয় হল ছেলেরা কেউ হাড়ি ফাটাতে পারলনা। বিষয়টা এমন যে, (মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে আমি আর বাইতে পরলামনা)।কি আর করা এবার মেয়েদের পালা, কথায় বলে না? লেডিস ফাস্ট সেটাই হল এবার,প্রথম প্রতিযোগি হাড়িটা ভেঙ্গে দিল।সবাই অবাক!! ঐ একজনই পেরেছিল হাড়ি ফাটাঁতে।এবার বালিঁশ খেলা ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই শুরু হল মিউজিকের সাথে। পিকনিকের প্রধান উপদেষ্টা ম্যাম ও আমাদের সঙ্গে খেলায় অংশ গ্রহণ করলেন।বাঁলিশ এমন ভাবে ছুড়তে হবে মিউজিক যখন থামবে থামা অবস্থায় যার হাতে বালিশ থাকবে সেই বাদ পড়বে খেলা থেকে। এভাবেই চলতে থাকল এক পর্যায়ে আমাদের সবার প্রিয় ম্যাম এই ইভেন্টে প্রথম হলেল, সবাই কি আনন্দ বলে বুঝাতে পারবনা।ম্যাম ও আনন্দের জোয়ারে উচ্ছ্বাসিত, প্রথম হলে যা হয় আরকি। প্রথম হয়েছে বলে কথা পুরস্কার ১টাকার হোক তাতে সমস্যা নাই। এরপর শুরু হল, বিশেষ জোকস পর্ব বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জোকস আয়োজন