২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৪৬/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

ঢাকায় ইউসুফের জানাজা সম্পন্ন চট্টগ্রামে আজ

     

প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ জানাজা হয়। আজ দুপুর ২টায় রাঙ্গুনিয়ায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজায় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, সংসদ সদস্যসহ সর্বস্তরের নাগরিক, রাজনৈতিক সহকর্মী, গুণগ্রাহী, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা শরিক হন।

মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষে ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহা. মামুনুর রশিদ এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন।

এ সময় মোহাম্মদ ইউসুফের মরদেহে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এর আগে মরহুমের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ ইউসুফ ১৯৯১ সালে ৮ দলীয় জোট থেকে নৌকা প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। বাম রাজনীতি সিপিবি ও ট্রেড ইউনিয়ন রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে অবিবাহিত এই রাজনীতিবিদ নিজের পুরোটা সময় রাজনীতিতে ব্যয় করেছেন। ১৯৮৬ সালে ৮ দলীয় জোটগত নির্বাচনে মো. ইউসুফের জয় নিশ্চিত থাকলেও প্রহসন করে তাকে হটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে ১৯৯১ সালে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯০ সালের বিএনপির সরকারের মাঝামাঝি সময়ে আ.লীগ সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসলে মো. ইউসুফও পদত্যাগ করেন। এরপরেই তিনি আ.লীগে যোগদান করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে নিজেকে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রাখেন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে বিলাস বহুল জীবন যাপন উপেক্ষা করে সাধারণ গাড়িতে চড়ে ও সাধারণ মানুষের সাথে মিশে তার নির্বাচনী এলাকায় মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে আ.লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর থেকে তিনি রাঙ্গুনিয়ার রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়েন। ২০০১ সাল বিএনপি সরকার গঠন করলে রাজনীতির মাঠ থেকে এক প্রকার আড়াল হয়ে যান। এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল ও ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিলেও ধীরে ধীরে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তার ছোট ভাই মোহাম্মদ সেকান্দর একটি চায়ের দোকান চালিয়ে কোনো রকমে তাঁর চিকিৎসা সেবা চালিয়ে গেলেও অর্থাভাবে যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না।

কিছুদিন আগে তাঁর এই দুর্দশার কথা  বাংলাপোস্টবিডিসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। এরপর তার উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ দিলে গত ৯ জানুয়ারি বিকেলে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply