৩০ এপ্রিল ২০২৪ / ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১২:১২/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১২:১২ পূর্বাহ্ণ

নির্ঘুম কাটে রাত বিষখালী পাড়ের মানুষের 

     

কে.এম.রিয়াজুল ইসলাম,বরগুনা

‘কতডা বছর ধইররা গাঙ্গের পাড়ে পইররা রইলাম, কেউ আইলো না। আর আমাগো কষ্ট কেউ দ্যাহেওনা। এই দু:খ কারে কই,এ্যাহন রাস্তায় থাহা ছাড়া উপায় নাই।’ অনেকটা আক্ষেপের সুরে এ কথাগুলো বলছিলেন সদর ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত ঝোপখালী গ্রামের বৃদ্ধা আমেনা বেগম।
সরকার আসে সরকার যায়, কিন্ত বিষখালী নদীর পাড়ের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়না। চলতি বর্ষা মৌসুমে বৈরি আবহাওয়ার কারনে গত কয়েক দিনে বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত বইছে। ভাঙন আতংকে সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী, উওর বেতাগী , কেওয়া বুনিয়া গ্রামের পরিবার গুলো নিরাপদ আশ্রয়ে ঘর-দরজা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধের বেশির ভাগ অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের একটি অংশের উপর কয়েকটি পরিবার ঘর তুলে আশ্রয় নিয়েছে। এলাকাবাসী ভাঙন আতংকে রাত জেগে কাটাচ্ছে। কখন যেন বসতি চলে যায় বিষখালী নদীর গর্ভে। গত বছরে ভাঙনে উওর বেতাগী গ্রামের সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সংস্কার করা হলেও পুনরায় যে কোন মুহুর্তে বেড়িবাঁধের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য সহ এ এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ওয়াদা করে ছিলেন নির্বাচিত হলে বিষখালী নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্ত এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ভাঙন প্রতিরোধে বেতাগী বাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে।
এ ব্যাপারে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, নদী ভাঙ্গন রোধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়ার জন্য চেস্টা চালাচ্ছি।
বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবির বলেন, এখানকার ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে সংশ্লিস্টদের কাছে যোগাযোগ করা হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply