চট্রগ্রামে পুরানো মন্দির ভেঙ্গে মার্কেট বানানোর পাঁয়তারা
চট্রগ্রামে ৮৭ বছরের পুরানো একটি মন্দির ভেঙ্গে মার্কেট বানানোর পাঁয়তারা করছে ভূমিদস্যুরা। এরই ধারবাহিকতায় গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে তারা মন্দিরটি ভেঙ্গে ফেলেছে। মন্দির ভাঙ্গার আশঙ্কায় প্রায় ২০ দিন আগে কোতওয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মন্দিরটির সেবায়েত।
জানা গেছে, চট্রগ্রামের আন্দরকেল্লার ৯০ নম্বর টেরিবাজারের রঘুনাথ বাড়ি ১৯৩০ সালে মনষা মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন স্বগীয় শ্রী খেমস পন্ডিত। তাঁর মৃত্যুর পর বংশ পরম্পরায় মন্দিরটির দায়িত্ব পালন করতেন খমস পন্ডিতের আত্মীয় স্বপন আচার্য্য। চট্রগ্রামের আন্দরকেল্লার ৯০ নম্বর টেরিবাজারের রঘুনাথ বাড়ির মত গুরুপূর্ন স্থানে মন্দিরটি হওয়ায় নজরপরে কতিপয় কিছু ভূমিদস্যুর। তারা ওই মন্দিরের পুরোহিত ও কমিটির লোকজনদের তোয়াক্কা না করে উজ্জল চন্দ্র শান্তনু মন্দিরের জায়গাটি আত্মসাতের চেষ্টা করে। মূলত উজ্জল চন্দ্র শান্তনু বিএনপির একটি চক্রর সঙ্গে আঁতাত করে একটি ডেভোলাপার কোম্পানীর চুক্তি করে। শান্তনু বিভিন্ন সময়ে মন্দিরের পুরোহিতের ঘর ভেঙ্গে মারধোর করেছে । এ বিষয়ে চট্রগ্রামের কোতওয়ালী থানায় বিভিন্ন সময়ে মামলা করেছিল মন্দিরের পুরোহিত স্বপন আচার্য্য। এছাড়াও তিনি চট্রগ্রামের মহানগর মূখ্য হাকিমের আদালতে মামলাও করেছিলেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এ ব্যাপারে রঘুনাথ মন্দিরের সেবায়েত শ্রীমান বিপ্লব দিক্ষিৎ জানিয়েছেন, গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে উজ্জল চন্দ্র শান্তনুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মন্দিরটি ভেঙ্গে ফেলে ডেভোলাপার কোম্পানীর কাছে জমিটি হস্তান্তর করবেন। তারা প্রশাসন সহ বিভিন্ন ঊর্দ্ধতন ব্যক্তিদের মন্দিরটি সংস্কারের কথা বলছেন বিভ্রান্ত ছড়িয়ে জমিটি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন।
নিয়মানুযায়ী কোন মন্দিরের সংস্কারের কাজ করতে গেলে মন্দিরের সেবায়েত,পুরোহিত জেলা প্রশাসনকে জানাতে হয়। কিন্তু এই ভূমি দস্যুরা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই মন্দির ভেঙ্গে ফেলেছে। তারা জমিটি আত্মসাতের জন্য মন্দিরের পুরোহিত স্বপন আচার্য্যকে হাত করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রঘুনাথ মন্দিরের সেবায়েত বিপ্লব দিক্ষিৎ।
মন্দিরটি ভেঙ্গে জমিটি আত্মসাতের চেষ্টার আশঙ্কায় গত ১০-১২-১৭ ইং রঘুনাথ মন্দিরের সেবায়েত বিপ্লব দিক্ষিৎ কোতওয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরিটির তদন্তের দায়িত্ব পান কোতওয়ালী থানার উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতওয়ালী থানার উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, যিনি জিডি করেছিলেন তাকে একাধিকার ডাকা হলেও তিনি আমার কাছে আসেননি। তবে মন্দির ভাঙ্গার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। আমি ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।
এ ব্যাপারে কোতওয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, মন্দির ভাঙ্গার কোন খবর আমরা পাইনি।তবে জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নুরুজ্জামানকে ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছি সর্বশেষ খবর জানতে।