২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:২৯/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ৮:২৯ অপরাহ্ণ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চকবাজার ঘাসিয়া পাড়ায় ভাংচুর লুট-পাট

     

নগরীর চকবাজার থানাধীন ঘাসিয়া পাড়ার ছত্তার কোম্পানীর বাড়ীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রার্থীক পক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ব্যাপক ভাংচুর এবং লুট-পাট চালায়। প্রতিপক্ষ অভিযোগ করে বলেন তাদের প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি এবং লুঠ-পাট হয়েছে। জানা যায় ৩ মাস পূর্বে আবুল কালামের নিকট  হতে কহিনুর আক্তার  বি.এস. ১৮২ নং খতিয়ানের ৯১৪ এবং ৯২৫ দাগের ২ গন্ডা ১ কড়া জায়গা ক্রয় করেন। ক্রেতা দখল বুঝে নেওয়ার পর উক্ত জায়গা তার বড় বোন তাছলিমা আক্তারের নামে হেবা করে দেন। তাছলিমা আক্তার উক্ত জায়গা ভোগ দখল করার ১ মাস পর পার্শ্ববর্তী সন্ত্রাসী আব্দুর রহিম এবং আব্দুর রহমান উক্ত জায়গায় তাদের অংশ আছে মর্মে দাবী করেন এবং বলেন ৫ লক্ষ টাকা দিলে তাদের আর কোন দাবী থাকবে না। টাকা না দিয়ে এই জায়গায় বসবাস করা যাবে না। তাদের মারধর এবং মামলার হুমকিও দেওয়া হয়। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে তারা আদালতে ০৩/১০/২০১৭ইং মিছ মামালা দায়ের করেন। মিছ মামলা  নং: ১৭৮৫/২০১৭। জায়গার বর্তমান তাছলিমা আক্তার হলেও তারা  মামলায় তাছলিমা আক্তারের শ্বশুর বশির আহম্মদ কে প্রতিপক্ষ করে। আদালত উক্ত জায়গার উপর ১৪৫ ধারা জারি করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মতে চকবাজার থানার এ.এস.আই মো:আবুল কালাম ০৪/১০/২০১৭ইং তারিখ উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ জারি করেন। কিন্তু  আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রার্থীক পক্ষ একদল সন্ত্রাসী নিয়ে ০৫/১০/২০১৭ইং তারিখে দুপুর ১ টার দিকে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুঠ-পাট এবং ভাংচুর করে বসতগৃহ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামালায় তাছলিমা আক্তারের শ্বাশুরি মাহফুজা খাতুন (৫৫) আহত হন। এসময় নোটিশ প্রদান কারি এ.এস. আই আবুল কালাম কে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপস্থিত হয়ে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেন। এবিষয়ে এ,এস.আই আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি লুঠ-পাট এবং ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন দপক্ষের মধ্যে সামান্য বাকবিতন্ডা হয়েছে। তিনে গিয়ে দুপ’ক্ষকে শান্ত করেছেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply