মাননীয়,

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সমীপে,

শ্রদ্ধেয় ইউনুস ভাইজানরে ,

গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া ডিজিটাল বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ ও পালন করিয়া নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া ভালোই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবিয়া ভাবিয়াই নানান রকম চিন্তা করিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি।

 গেলবারও গরম কথা লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম বলিয়াই আপনাকে আবারও লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন আর ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।

ইউনুস ভাইজানরে,

আপনি হইলেন , বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা । এর আগে অসংখ্য পরিচয়ের মধ্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একজন সামাজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক হিসাবে গোটা দুনিয়ার মানুষ আপনাকে চিনিয়া থাকেন। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য আপনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিরল সম্মাননায় আপনি ভূষিত হইয়াছেন।

২০১২ সালে আপনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (শিক্ষা) হইলেন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এর আগে আপনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।  ১৯৯৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বও আপনি পালন করিয়াছেন। ২০২২ সালে আপনি উন্নয়ন আন্দোলনের জন্য ইস্পোর্টস তৈরি করিতে গ্লোবাল ইস্পোর্টস ফেডারেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করিয়াছিলেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলন এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করিলে ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করিবার পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি চুপপু আপনাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করিয়াছেন। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে আপনি দায়িত্বভার গ্রহণ করিয়া দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন । যাক, সেইসব কথা।

ভাইজানরে,

বাজার সিন্ডিকেট কেন নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিতেছেন না ? বাণিজ্য উপদেষ্টা একি বলিলেন ? তিনি বলিলেন, ‘মিশিন দিয়া কি ডিম তৈরী করিব’ ?  আপনার ঘোর সমর্থকেরা বলিতেছে, এমন কাজ করিবেন না যাহাতে সাধারণ মানুষেরা বলিতে বাধ্য হয় ‘আওয়ামী লীগ সরকার বহুত ভালো ছিল’ ।

 

ভাইজানরে,

আপনার গর্বিত জেলা চট্টগ্রামের মানুষ আপনাকে সরকার প্রধান হিসাবে পাইয়া মহা খুশীতে আছে। সালা উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী সামন্য কয়েক ঘন্টা সময় ক্ষমতা পাইয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিন একাডেমী অনুমোদন করিয়াছেন যাহা চট্টগ্রামবাসীরা এখন ভুলেন নাই।

 

আজ আর না। আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনায় গ্রাম বাংলার অখ্যাত ঠান্ডা মিয়া

গ্রন্থনা ম. আ. হ

আগামী সংখ্যায় চট্টগ্রামের মেয়র ডাঃ শাহাদত হোসেন  সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (৩৪০) সম্প্রচার করা হইবে।

 

শেয়ার করুনঃ