১৯ মে ২০২৪ / ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:১০/ রবিবার
মে ১৯, ২০২৪ ৪:১০ পূর্বাহ্ণ

আনু-কালাম ও পুলিশ সিন্ডিকেটের টোকেন বানিজ্যের জের, বেহাল দশা সড়কে যানজট ও দূর্ঘটনা লেগেই আছে

     

কাপ্তাই রাস্তার মাথায় সিএনজি থেকে টোকেন বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন আনু আর কালাম সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিধি সম্মত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের এ হেন টোকেন বানিজ্য বহাল তবিয়তে ।

সিএমপি কমিশনার কার্যালয়, চান্দগাঁও থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের ডিসি, টিআইর নাম ভাঙ্গিয়ে মাসিক টোকেন দিয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিমাসে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক চুক্তিতে এ টোকেন দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

টোকেন বাণিজ্যে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কথিত পরিবহন শ্রমিক নেতা আবুল কালাম ও আনু মিয়া আনু, মোরশেদ প্রতিদিন দুই লাখ টাকা থেকে তিন লাখ টাকা অবৈধভাবে আদায় করে আসছে। কালাম আর আনু মিলে টোকেন বাণিজ্য বিভিন্ন হাতে মাসোহারা হিসাব বন্টন করে থাকে।

সিএমপির সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনকে প্রতিমাসে মৌখিক চুক্তি মোতাবেক নিধারিত সময়ে এ টাকা পরিশোধ করতে হয়। প্রতিমাসে চান্দগাঁও থানার নামে ১ লাখ টাকা, কাপ্তাই রাস্তার মাথায় দায়ীত্বরত টি আইর প্রতিনিধি দালাল জয়নালের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা, কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির নামে ২০ হাজার টাকা, কাপ্তাই রাস্তার মাথা পুলিশ ফাঁড়ির নামে ১০ হাজার টাকা, কাপ্তাই রাস্তার মাথায় দায়ীত্বরত সার্জেন্টদের নামে ৫০ হাজার টাকা, বিভিন্ন খাতে খরচ বাবদ ৭০ হাজার টাকা, বোয়ালখালী পৌরসভার এক কাউন্সিলরকে ৩০ হাজার টাকা, তারা টোকেনের নামে চাঁদাবাজি করে আসছে সাধারণ গাড়ি চালকদের কাছ থেকে।

পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, অবৈধ সিএনজিগুলো মাসিক টোকেন না নিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে টোকেন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর গ্রাম সিএনজিগুলো নগরীতে প্রবেশ নিধেষধাজ্ঞা থাকলেও মাসিক চুক্তিতে অবৈধ গাড়িগুলো শহরে প্রবেশ করায় পুরো এলাকা যানজট সৃষ্টিসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

আনু আর কালাম জামায়াতের শ্রমিক সংগঠনের নেতা হারুনের অনুসারী। টোকেন বাণিজ্যে জড়িত আনু মিয়া আনুর মোবাইলে এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথা টিআই কামরুজ্জামান রাজের কাছে টোকেন বাণিজ্যর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কমিশনারের কার্যালয়ে রয়েছে বলে দাবি করে এ বিষয়ে পরে কথা বলবে বলে জানায়, টোকেন বানিজ্য নিয়ে তিনি কোন ধরণের মন্তব্য করেনি।

এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার সদ্য বদলীকৃত অফিসার ইনচার্জ জাহেদ বলেন, টোকেন বাণিজ্য নিয়ে আমাদের কাছে বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসলে আমরা টোকেন বাণিজ্যর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি এবং টোকেন দিয়ে যে সব গাড়ি চলাচল করত এ ধরণের ব্যক্তি এবং গাড়িগুলো আটক করার নির্দেশনা রয়েছে।এ নিয়ে যে কেউ থানায় আসলে আমরা তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেব।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply