১৯ মে ২০২৪ / ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:২১/ রবিবার
মে ১৯, ২০২৪ ৪:২১ পূর্বাহ্ণ

পূর্ব বাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর নিমতলা খালপাড়ে সাইমুল আইসক্রীম ফ্যাক্টরীতে জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই’র যৌথ অভিযান অভিযান

     

ক্ষতিকর রঙ মিশ্রিত আইসক্রিম তৈরী , ১ লাখ টাকা জরিমানা , ১২০০০ পিস আইসক্রিম ধ্বংস

চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন নিমতলা খালপাড় এলাকায় একটি আইসক্রিম তৈরীর কারখানায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই। এসময় কারখানার মালিক ওমর ফারুককে হাতে নাতে আটক করা হয়। কারখানায় আইসক্রিম মোড়কজাত বা প্যাকেজিং করার কোন লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর রং মিশ্রিত ১২০০০ পিস আইসক্রিম জব্দ করা হয়। দূষিত পানি এবং মানহীন বিভিন্ন পদার্থ এবং রং দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ার এসকল আইসক্রিম তৈরী করছিল প্রতিষ্ঠানটি। আইসক্রিম গুলোর গায়ে কোন উৎপাদনের তারিখ বা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ কিছুই ছিল না। এসকল অপরাধে অভিযুক্ত ওমর ফারুককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৫০০ কার্টুন (১২০০০ পিস) মানহীন আইসক্রিম জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়।

জানা গেছে, বন্দর খালপাড়ে, ওসির দোহাই দিয়ে চলছে – ‘বৈধ কোন কাগজপত্র নেই, টিনশীট অপরিষ্কার পরিবেশে নোংরা পানি দিয়ে আইস্ক্রীম তৈরী’ এই শিরোনামে সাপ্তাহিক পূর্ব বাংলায় ১ অক্টোম্বর ‘২৩ সংবাদ প্রকাশিত হয়।সংবাদটি প্রকাশিত হবার পর স্হানীয় এলাকাবাসী খুশী হলেও মালিক পক্ষ বেপরোয়া হয়ে উঠে। স্বল্প পুঁজিতে বেশী লাভের আশায় সাইমুন আইসক্রীম নামের ফ্যাক্টরীতে লিচি আইসক্রীম প্যাকেটজাত করে পুরোদমে বাজার জাত করে আসছিল । স্হানীয় এলাকাবাসী পূর্ব বাংলা অফিসে বিষয়টি জানায়। পুর্ব বাংলা পত্রিকা পুনঃরায় সরেজমিন তদন্ত করে ‘সাইমুন’ আইসক্রীম ফ্যাক্টরীতে ‘ লিচি’ লেভেল, বিএসটিআই ও পরিবেশ অধিদপ্তর ঘুমে !’ শীর্যক আরো একটি তথ্যবহুল ও অনুসন্ধানী রিপোর্ট ১৫ অক্টোম্বর প্রকাশ করে। এক মাসের মধ্যে পর পর দুটো সংবাদ প্রকাশিত হবার পর অবশেষে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আসছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম এর জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এই চট্টগ্রামকে ভেজাল ও মানহীন খাদ্যমুক্ত একটি স্মার্ট জেলায় পরিণত করার জন্য কাজ করছি। এসকল আইসক্রিম সাধারণত স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা খেয়ে থাকে। তীব্র গরমে এসকল আইসক্রিম এর চাহিদা আরো বেশী বাড়ে। জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এরূপ কোন খাদ্যদ্রব্য এই চট্টগ্রামে উৎপাদন করতে দেয়া হবে না। আমাদের ভেজালবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম এর পক্ষে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রতীক দত্ত।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply