ঢাকা অফিস
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দুটি করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার রাতে বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু তারা মামলার আসামি, সেহেতু যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন মাহি ও তার স্বামী।’ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এ ছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। এর আগে শুক্রবার ভোরে স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালনরত মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।
এ সময় তিনি দাবি করে বলেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেখানে দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। তারা শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাব, দরজা-জানালা, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে। শোরুমের সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছে। অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে।
ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকার নামে দুজনের নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মাহি। এ সময় ফেসবুকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন মাহি।
এ বিষয়ে মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি (মাহি) মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নিতে চাচ্ছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করে তিনি পুলিশকে বিতর্কিত করার মিশনে নেমেছেন। অথচ মাহী বা তার স্বামী জমিজমা-সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে আমার কাছে আসেননি।
শুক্রবার যাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদেরও আমরা চিনি না। পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
কমিশনার আরও বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুপক্ষই পালিয়ে যায়। তাদের জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইসমাইল হোসেনসহ তার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আহত ইসমাইল বাদী হয়ে ২৮ জনের বিরুদ্ধে বাসন থানায় একটি মামলা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
মাহীর ফেসবুক লাইভের পর সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, রকিব সরকার তার প্রায় সোয়া ১১ শতাংশ জমি দখল করে গাড়ির শোরুম করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দফতরে তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।
শেয়ার করুনঃ