২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:৫৬/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

প্রসঙ্গ: রোহিঙ্গা উদ্ভাস্ত বাংলাদেশের উৎকণ্ঠা

     

মাহমুদুল হক আনসারী

রোহিঙ্গা জনগণ বার্মার জন্ম সূত্রে বৈধ নাগরিক। বার্মা সরকারের অত্যাচার নির্যাতন, নিপীড়নের কারণে তারা বাংলাদেশে উদ্ভাস্ত হয়েছে। তাদের অন্য কোনো দেশে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ ছিলনা। বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ার কারণে এ দেশের সরকার তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে। তাই তারা উদ্ভাস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌম মাটিতে আশ্রিত হয়েছে। তাদের জন্য বাংলাদেশের বিশাল অংশ কক্সবাজার জেলার পরিবেশ আজ কলোষিত। সেখানকার পরিবেশ অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। প্রায় ১৭ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জনগণ বাংলাদেশে উদ্বাস্থ হিসেবে শরণার্থী হয়েছে। এ সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদেরকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সরকারের চরমভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ এমনিতেই জনবহুল একটি দেশ। বাংলাদেশের জনগণের
নাগরিক চাহিদা পূরণ করতে সরকার যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে রোহিঙ্গা বিশাল এ গোষ্ঠী শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি অর্থনীতিতে কাটা হয়ে উৎকণ্ঠার কারণ হয়েছে। তারা বাংলাদেশে প্রবেশের পর থেকে সে অঞ্চলের আর্থ সামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতি সবকিছুর মধ্যে একটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সে অঞ্চলের বাংলাদেশের নাগরিক রোহিঙ্গাদের কারণে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। স্থানীয় নাগরিকগণ তারা কর্মসংস্থান হারাচ্ছে বিরুপ পরিবেশের মধ্যে তাদেরকে দিন কাটাতে হচ্ছে। চাকরী ও কর্মসংস্থান হারাচ্ছে। প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের মধ্যে মারামারী হাঙ্গামা দখল বেদখল চলছে। একে
অপরকে হত্যা করার সংবাদ মিডিয়াতে পাওয়া যায়। সারা দুনিয়া জুড়ে রোহিঙ্গাদের জীবন সংবাদ প্রচার হচ্ছে। একটা টু শব্দ হলেই সেটা বিশাল করে প্রচার হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত ও তাদের কার্যক্রমে কোনোভাবেই উপকৃত নয়। তাদের জীবন জীবিকা চাল-চলন এদেশের জন্য হুমকি ছাড়া কিছুই বয়ে আনবে না। দেশের জনগণ তাদেরকে পূর্ণ নাগরিক সুযোগ সুবিধা অধিকার দিয়ে তাদের দেশে প্রত্যাবর্তনের পক্ষপাতি। এদেশের মানুষ রোহিঙ্গা জনগণ বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থাকুক সেটা চায় না।

বিশেষভাবে লক্ষ্য করছি একটি দেশি বিদেশি মহল তাদেরকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে রেখে দেয়ার পক্ষে ষড়যন্ত্র করার  আবাস পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার আর জনগণ সেটা কখনো সফল হতে দেবেনা। বাংলাদেশ চায় যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা উদ্ভাস্ত তাদের দেশে ফেরত যাক। আন্তর্জাতিক মহলকেও সে চিন্তা
মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রেখে দেয়ার শর্তে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগীতা এদেশের সরকার ও জনগণ গ্রহণ করতে রাজি নয়। বিশ্বের দায়িত্বশীল সংস্থাকে বাংলাদেশের পক্ষ হতে পরিস্কার করে বলে দিতে চাই, তাদেরকে বার্মায় ফিরে নিতে যা যা করা দরকার সে উদ্দোগ চায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ । এর বাইরে যত ধরনের প্রস্তাব সেটা বাংলাদেশেরজনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা মানবতার পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে জুলুমের কঠোর বিরোধী বাংলাদেশ ও জনগণ। বার্মা সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে তাদের ফিরে নেয়ার উদ্যোগকেই স্বাগত জানাবে এদেশের
জনগণ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply