৩০ এপ্রিল ২০২৪ / ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:২২/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সকলকে একই সুত্রে সোচ্চার হতে হবেঃ মেয়র রেজাউল করিম

     

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন,, চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বানিজ্যিক রাজধানী ও ব্যবসা বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তা কখনো ব্যক্তি বা একক উদ্যোগে সম্ভব নয় । এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা। চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যে – অবস্থান বা সংগঠনগত কাঠামোতে আমরা থাকিনা কেন সকলকে একই সূত্রে সোচ্চার হতে হবে। তিনি আরো বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের অবস্থান পাল্টে যাবে এবং এর ইতিবাচক সুফল জাতীয় বা আঞ্চলিক পর্যায়েই শুধু নয় বৈশ্বিক স্তরে ও বিস্তৃত হওয়ার অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। এই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সম্পদ অর্জনের পরিধি বৃদ্ধিসহ শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপান্তর সবচেয়ে বেশী প্রাসঙ্গিক পূর্বশর্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়।

তিনি ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী চসিক ভবনে তাঁর দফতরে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথা বলেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়ন চাই। এজন্য তড়িঘড়ি করতে চাই না। যা কিছু করবো তা স্থায়ী ভাবে করবো। এজন্য সকলের পরামর্শ নেবো এবং সর্বসম্মত ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিয়েই টেকসই উন্নয়ন করবো। এতে ভাল মন্দের অংশীদার কেউ একা নয়, আমরা সকলেই। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে যে সকল সেবা সংস্থা সম্পৃক্ত এবং মেগাপ্রকল্পগুলো যাদের হাতে রয়েছে তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আসছে না। এক্ষেত্রে সমন্বয়ের দায়িত্ব সঙ্গত কারণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়রের উপরে বর্তায় । কিন্তু মেয়রের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব সীমিত। এই অবস্থায় মেয়রের কর্তৃত্ব খাটানোর আইনগত অধিকার প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো উল্লেখ করেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের সমন্বয় সভায় সেবা সংস্থার সঠিক প্রতিনিধিত্ব হয় না। অনেক সেবা সংস্থার প্রধানরা না এসে তাদের অধীনস্থ নামকাওয়াস্তে একজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন। এতে সমন্বয় সভার গুরুত্ব থাকেনা এবং কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যায় না।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এম. এ. সালাম বলেন, করোনা কালে তৈরী পোশাক রফতানী শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েনি। আল্লাহর অশেষ রহমত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতা এবং সঠিক সিদ্ধন্তে এই শিল্পের চাকা সচল ছিলো। এই খাতে তাঁর দেয়া সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনায় আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রয়াত মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের আন্দোলন – সংগ্রাম ও রাজনৈতিক কর্মসূচীতে গার্মেন্টস শিল্পকে আওতার বাইরে রেখে সচল রেখেছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানী ও রফতানী কার্যক্রম ব্যাহত হতে দেননি। তাই আমরা স্বস্তিতে ছিলাম। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মানে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম ঘুরে দাঁড়ালে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। চট্টগ্রামে সরকারের মেগা প্রকল্প- বিশেষ করে কর্ণফুলীর নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল, বেটার্মিনাল ও গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়ন হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বৈশ্বিক গুরুত্ব পাবে। গভীর সমুদ্র বন্দর একটি বহুমাত্রিক আন্তর্জাতিক টার্মিনালে রূপান্তরিত হবে। চট্টগ্রাম শুধুমাত্র রিজিওনাল কানেক্টিভিটি নয়, ভারত-নেপাল-ভুটান-মিয়ানমার-ণাওস-চীন পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটির যোগসূত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। ফুলগাজী-মিরসরাই-সীতাকুন্ডে উপকূলবর্তী দেশের বৃহত্তম শিল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে অচিরেই গড়ে উঠতে যাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামে চীন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজ গড়ে তুলতে চায়। এই সম্ভাবনার আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতার পরিধি বিস্তার খুবই জরুরী। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও তাঁর নির্বাচিত পরিষদকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, চট্টগ্রামকে জাতীয় স্বার্থে একটি আন্তর্জাতিক মানের নগরীতে রূপান্তরে সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই। আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এ.এম. চৌধুরী সেলিম, সহ-সভাপতি অঞ্জন শেখর দাশ, পরিচালক মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী এবং প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ এবং উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ড. নেছার আহমেদ মঞ্জু, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply