২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:৪২/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ১০:৪২ অপরাহ্ণ

মাদক সম্রাট ‘মনিকার’ অত্যাচার থেকে বাঁচতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

     

 

মনিকা বেগম মনি (২৯) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সিএমপি’র তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী। প্রায় ১০ বছর আগ থেকেই মদ, গাঁজা বিক্রির মাধ্যমে মাদক ব্যবসা শুরু করে। এখন সে ইয়াবা ও হিরোইন পাচারের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী। বায়েজীদ বোস্তামী থানার
মাদক বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করে মনিকা। বর্তমানে নামে বেনামে প্রচুর সম্পদ গড়ে তোলেছেন এই ইয়াবা সম্রাট। মাদক ব্যবসায়ীর স্বামী বাহার উদ্দিন রকির হাত ধরেই তিনি মাদক ব্যবসায় আসেন। প্রশাসনের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সাথে তার সখ্যতা থাকায় বেশ কয়েকবার জেলে গেলেও দ্রুত জামিনে বের হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে মনিকা। বায়েজীদ থানার আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান ঘিরে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বসে মনিকার মাদকের হাট। যেখানে মাদকসেবী সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত শ্রমিক এবং স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলে আনাগোনা।
মনিকার স্বীকারোক্তি মতো বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় কবরস্থানের কবর খুঁড়েও উদ্ধার করা হয় মদ, গাজা, ইয়াবা। বিভিন্ন মামলার নথি থেকে জানা যায় মিনকার পুরো পরিবার সবাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তার বোন মুক্তা, সেলিনা, ববিতা ও ভাই মানিক কেন্দ্রীয় কবরস্থানের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে বলে মনিকা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মনিকার বিরুদ্ধে প্রায় ২০/২২টির উপরে মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও করেছে তাকে। তার বোন মুক্তা, সেলিনা, ববিতা ও ভাই মানিক এবং স্বামী বাহার উদ্দিন রকিও গ্রেফতার হয়েছিল।
এই মাদক স¤্রাট মনিকার অত্যাচারে আরেফীন নগর এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন মফিজ উদ্দিন, খুরশিদা বেগম, মোছাম্মৎ রেনু, আকবর, তাহের, তানিয়া, মাঈনুদ্দিন ও ভান্ডারী। মানববন্ধন কর্মসূচী চলাকালে বক্তারা বলেন, আরেফীন নগর পুরো এলাকা আজ মাদক
ব্যবসায়ী মনিকার অত্যাচারে দিশেহারা। সন্ত্রাসী, মাদকসেবী, পতিতা ও প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মানুষের উপর অত্যাচার করছে। মাদকের টাকায় অট্টালিকা গড়ে তোলছে। সিটি কর্পোরেশের সড়ক দখল করে পুরো সড়কেই বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ফেলে চলাচলের অনুপযোক্ত করে রেখেছে। মসজিদের আশপাশেই পতিতালয় গড়ে তুলেছে। এমনকি কবরস্থানকে মাদক রাখার নিরাপদ স্থান বানিয়েছে। এই মাদক সম্রাটের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে নির্যাতন করা হয়।
বক্তারা বলেন, ওসি মহসিন থাকাকালীন এই মাদক স¤্রাট অনকেটা চুপচাপ ছিল। কারণ ওসি মহসিন এই মাদক সম্রাটকে গ্রেফতার করে এবং মাদক বিক্রি করতে দেয়নি। ওসি মহসিন বদলী হওয়ার পর মনিকা তাঁর রাজত্ব আবারও গড়ে তোলে। বক্তারা পুলিশকে মোটা অংকের টাকা প্রদানের মাধ্যমে মনিকা এই ব্যবসা প্রকাশ্য করছে বলেও অভিযোগ করেন। বক্তারা আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনে জমি দখল করে গড়ে তুলেছেন কলোনী ও গরুর খামার। বিভিন্ন বায়েজীদ থানার পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করে মাদকের টাকায়। বক্তারা অবিলম্বে পুলিশের তালিকাভুক্ত এই মাদক পাচারকারী ও ব্যবসায়ীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি ওএলাকা থেকে মাদকের উৎপাত বন্ধ করার জন্য সঙশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply