২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:৫৪/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ

বিশ্বের মাঝে চট্টগ্রাম বন্দর পোর্ট সিকিউরিটিতে লেভেল ১ হবে বলে আশাবাদ বন্দর চেয়ারম্যানের

     

 

আনিসুর রহমান

চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের মোট বাণিজ্যের ৯২% এবং কন্টেইনারজাত পণ্যের ৯৮% পরিবাহিত হয়ে থাকে ।দেশের বৈতেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগই সামাল দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ল এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে চট্টগ্রাম বন্দরের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১ টায় বন্দর কনফারেন্স হলে এক সংবাদিক সম্মেলনে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বন্দর চেয়ারম্যন।

২০১৮ সালে যেখানে কনটেইনার ওঠানামা হয়েছিল ২৯ লাখ ৩ হাজার টিইইউস,২০১৯ সালে হয়েছে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার টিইইউস। পবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৬.৩৪ শতাংশ। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের এই পরিসংখ্যান চট্টগ্রাম বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি প্রক্ষাপণকে ছাড়িয়ে গেছে।সামগ্রিকভাবেই চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ইয়ার্ড ও ধারণ ক্ষমতা বেড়েছে। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কনটেনার রাখা সম্ভব হচ্ছে।লয়েডস্ লিস্ট এর জরিপে বিশ্বের সেরা ১০০টি কন্টেইনারবাহী বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান অবস্থন ৬৪তম যা ২০০৯ সালে ছিল ৯৮তম । ২০১৯ সালের হ্যান্ডলিং পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর এ বছরের জরীপে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী।এখন জোয়ারের সময় গড়ে চার ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯.৫ মিটার ড্রাফটের এবং সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভিড়তে পারে।বে টার্মিনালে বেশি গভীরতা ও বেশি দৈর্ঘ্যের জাহাজ দিন-রাত ভিড়ানোর সুযোগ থাকবে।২০২৫ সালের মধ্যে ১,৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ মাল্টিপারস টার্মিনাল এবং ১২২৫ও ৮৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি কনে্েটইনার টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

গত ১ বছরে চবক প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ বেডের একটি আধুনিক হসপিটাল কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের জন্য ১০টি শীপ টু শোর কী গ্যান্টি ত্রেুনস ৫১টি ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রায় ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে নিউমুরিং ওভারফ্লো ইয়ার্ডের ১ম পর্যায়ের কাজ গত বছর শেষ হয়েছে।
বর্ণফুলী নদীর সদরঘাট থেকে বাকলিয়া চর পর্যন্ত “ড্রেজিংয়ের মাধ্যেমে নাব্যতা বৃদ্ধি” শীর্ষক প্রকল্পটি শত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও চলমান রয়েছে। চবক এর ২টি মোবাইল হারবার ত্রেুন সংগ্রহের লক্ষে গত বছর কার্যাদেশ করা হয়েছিল। বর্তমানে তা চবক’র ইক্যুইপমেন্ট বহরে সংযুক্ত হয়েছে।চলতি বছরে ২টি ৭০টন বোলার্ড পুলের হাইপাওয়ার টাগবোট সংগ্রহের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চবক’র বিভিন্ন ইয়ার্ডের জন্য ১০৪টি নতুন ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহের ডিপিপি সম্প্রতি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এই ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ কার্যক্রম সহসা শুরু হবে।চলতি অর্থ বছরে নিউমুরিং ওভাফ্লো ইয়ার্ডের ২য় পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে। ৭ নটিক্যাল মাইল থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল এ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বন্দরের জলসীমা ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বন্দরের আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।মাতারবাড়ীতে পোর্ট নির্মাণ ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে। চট্টগ্রাম বন্দর যা পোর্ট সিকিউরিটি লেভেল-১ বজায় রেখে চলেছে। বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গেট এন্ট্রি সিস্টেম, পূর্বের তুলনায় অনেক আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। বিগত প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম বন্দরে শুন্য দেখানো হয়েছে। শ্রম শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে সকল শ্রমিককে বীমা সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০০০ শ্রমিককে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। পর্যাযক্রমে সকল শ্রমিককে আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে ট্রেনিং প্রদান করা হবে। এতে কর্মক্ষেত্রে দূর্ঘটনার হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply