৭ মে ২০২৪ / ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:২০/ মঙ্গলবার
মে ৭, ২০২৪ ৩:২০ অপরাহ্ণ

ওয়াসার পানির দাম ৬২ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে আন্দোলন

     

 

চট্টগ্রাম গণ-অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং মহাসচিব এম.এ হাশেম রাজু এক বিবৃতিতে বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানির ৬২ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবিলম্বে এই গণবিরোধী মানুষ মারার সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবী জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন, ওয়াসা গত ৯ আগস্ট প্রতি ইউনিট (১০০০ লিটার) পানির দাম আবাসিক সংযোগে ৯ টাকা ৯২ পয়সার স্থলে ১৬ টাকা ও বাণিজ্যিক সংযোগে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সার স্থলে ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ প্রায় ৬২ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ওয়াসা কর্তৃপক্ষ নিয়েছে। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ গত জানুয়ারি মাসেও ৫ শতাংশ পানির দাম বৃদ্ধি করেছিলেন। অথচ ওয়াসা কর্তৃপক্ষের আইন ১৯৯৬ এর ২২ ধারা অনুযায়ী ওয়াসা এক বছরে সর্বমোট ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়াতে পারে। ফলে জানুয়ারিতে ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর পর ৬ মাসের ব্যবধানে পানির দাম প্রায় ৬২ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ওয়াসা কর্তৃপক্ষের আইন বিরোধী। ওয়াসাকে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। সম্প্রতিকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ওয়াসাকে পানির দাম বাড়াতে বলার পরই এ গণবিরোধী ঘোষণা আসায় ধারণা করা যায় সরকার এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বহাল রাখার জন্য পায়তারা করতেছে। গত ৭ বছরে ওয়াসা ৭ দফা পানির দাম বাড়িয়েছেন। অথচ ওয়াসার সেবার মান বাড়াতো দুরের কথা, আগে যা ছিল এখন সে মানটুকুও নেই বললেই চলে। সেবার মান বৃদ্ধির দিকে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ নজর না দিয়ে গ্রাহকের গাডেই মূল্যেবৃদ্ধির বোঝা তুলে দিয়েছে। সিস্টেমলসের কারণে প্রতিমাসে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আড়াই কোটি টাকা রাজস্ব হইতে বঞ্চিত হয়। শিল্প কলকারখানা সহ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে প্রায় ৮১ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে। উক্ত রাজস্ব বকেয়া আদায় করা হলে সিস্টেমলসের নামে চুরি, দুর্নীতি, লিকেজের কারণে অপচয় বন্ধের উদ্যোগ নিলে দাম বৃদ্ধির কোন প্রয়োজন হয় না। ওয়াসা কোন বাণিজ্যিকিকরণ প্রতিষ্ঠান নয়, জনগণের টেক্সের টাকায় গড়ে উঠা সেবামূলক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তাকে জনস্বার্থেই পরিচালনা করতে হবে। পানির দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বাসা ভাড়া বৃদ্ধিসহ জনগণের কাধে আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধির বোঝা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাপিয়ে দিচ্ছে। যা কোনভাবে মেনে নেওয়ার যায় না। নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে ৬০ লক্ষ নগরবাসীকে নিয়ে অচিরেই চট্টগ্রাম গণ-অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সিদ্ধান্ত রুখে দিবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply