আজ ২০ ফেব্র“য়ারি বিকাল ৫ ঘটিকার সময় দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে মহান ২১ ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের আলোচনা সভা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কমিশনার সামশুল আলম, এম.এ. আজিজ, এস.এম. সাইফুল আলম, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কাজী বেলাল উদ্দিন, মোঃ আলী, ইস্কান্দর মির্জা, সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মুক্কী, হারুন জামান, সামশুল আলম, ইকবাল চৌধুরী, আর.ইউ.চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আব্দুল মান্নান, ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, জি.এম. আইয়ুব খান, মোঃ সালাহ উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, সিহাব উদ্দিন মোবিন, এইচ.এম. রাশেদ খান, সোহরাব কোম্পানী, মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, নবাব খান, হানিফ সওদাগর, আকতার খান, এস.এম. জিয়া আকবর, মোঃ সালাহ উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাজী মোঃ মহসিন, মোঃ সেকান্দর, আলী আব্বাস খান, আলাউদ্দিন আলী নুর, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মোঃ আবু তাহের, জাহাঙ্গীর আলম, এম.এ. হালিম বাবলু, নুর হোসেন, এস.এম. মফিজ উল্লাহ, জামাল আহমেদ, শওকত আজম খাজা, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আব্দুল্লাহ আল ছগির, আব্দুল্লাহ আল হারুন, মোঃ বেলাল, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, এম.আই. চৌধুরী মামুন, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আজ বিশ্ব দরবারে শ্রদ্ধার সাথে পালিত হচ্ছে। এই মহান একুশে ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের গর্বের ও অহংকারের। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দেশপ্রেমিক সাহসী সন্ত্রানরা আমাদের মায়ের ভাষা জন্য “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” রাজপথে নেমেছিলেন। সেদিন সালাম, জব্বার, রফিকের মত অনেকেই মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। এবং তাদের কারণে আজ আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলা পেয়েছি। আমরা আজ জাতি হিসেবে মাতৃভাষার জন্য গর্ববোধ করি। সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই। স্বৈরাচারী কায়দায় দেশশাসন করছে সরকার। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও এক দলীয় বাকশালী কায়দায় দেশ শাসন করছে। আগামী দিনে এই স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তি পেতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভাপতি বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মহান একুশে ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি আমাদের জন্য একটি গর্বের দিন। এই দিনে ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে সালাম, জব্বর, বরকত, রফিকসহ অনেক নাম নাজানা ভাষা সৈনিকদের। বিশ্বের কোন দেশ ভাষার জন্য সংগ্রাম করতে হয়নি, প্রাণও দিতে হয়নি। শুধু আমাদের দেশে মাতৃভাষা বাংলার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। যার ফলে আজ আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলা পেয়েছি। আর এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি বিশ্ববাসী তাৎপর্যভাবে এই দিবসটি পালন করে থাকে, আমাদের অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এই দেশের স্বাধিকার আন্দোলনের সূত্রপাত। ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মাধ্যমে স্বাধীনতার সূর্যটি ছিনিয়ে এনেছিল এই দেশের মুক্তিকামী জনতা। এদেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও আমাদের বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্র একটি সাংবাবিধানিক অধিকার। উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। উন্নয়ন দিয়ে গণতন্ত্রকে ডাকা যাবে না। ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, বিএনপি একটি গণমানুষের দল, বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায়। নির্বাচন কালীন একটি সহায়ক সরকারের মাধ্যমে যে নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করবে। কারণ এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠ হয়নি। এই সরকারের অধীনের যে সকল নির্বাচন হয়েছিল সকল নির্বাচনই রকিব উদ্দিন মার্কা নির্বাচন ছিল। আর বর্তমান নতুন সি.ই.সি নুরুল হুদা, জনতা মঞ্চের একজন নেতা। তার অধীনে কোন নির্বাচন ও সুষ্ঠ হওয়ার সম্ভবনা নেই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নানান মুখি হাজার লোকের একত্র অস্থিত্ব, পথ যার মুক্তির নেশায় রক্তাক্ত তারই নাম একুশে ফেব্রুয়ারি। একুশ মানে ইতিহাস, একুশ মানে সংগ্রাম, একুশ মানেই মাথা নত না করার আহ্বান। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন অর্থহীন। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একটির বিকল্প আরেকটি হতে পারে না। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে সুস্থ নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান সরকারের বিরোধীদল দমনে হিংসার রাজনীতিতে সারা দেশটাকে এখন কারাগারে পরিণত করেছে। তিনি একুশের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে রাপথে একুশের দামাল ছেলেদের মত রক্ত বিলিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনকে আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুনঃ