২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:৩৩/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

আজ শেষ হচ্ছে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা এ বছর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

     

একুশ দিন পর আজ ২২ অক্টোবর শেষ হচ্ছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা। মা ইলিশ রক্ষা ও স্বচ্ছন্দে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে ১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে সারা দেশে ইলিশ পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ বা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়। আগামীকাল ২৩ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ইলিশ ধরা। জাল নৌকা নিয়ে জেলেদের প্রস্তুতি চলছে। ইলিশ শিকারে নামবেন এমন খুশির ঝিলিক তাদের চোখ-মুখে। জেলে পাড়ায় এবং মত্স্যঘাটে উৎসবের আমেজ।
এদিকে এ বছর ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গত ১ অক্টোবর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের মতো ইলিশ ধরা হয়েছে। কিন্তু বাকি সময়ে আহরণের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে না।
তাদের আনুমানিক হিসাব হচ্ছে, এ বছর এখন পর্যন্ত আনুমানিক ২ থেকে আড়াই লাখ ইলিশ ধরা পড়েছে। বরিশাল, পাথরঘাটা, ভোলা, চাঁদপুর, কক্সবাজার ও শরীয়তপুরের জেলেরা জানিয়েছেন, এ বছর এখনও দেশের নদীতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশের দেখা মেলেনি। বাজারে যা উঠেছে, তার ৯০ শতাংশই সাগরের ইলিশ। সাগর মোহনায় আরও ইলিশ আছে।
গভীর সাগরে এখনও প্রচুর ইলিশ রয়েছে। এ সব ইলিশই মাঝ নদীতে এসে ডিম ছাড়ে। ইলিশের খনি বলে খ্যাত ভোলার তেঁতুলিয়া, পটুয়াখালীর পায়রা, পিরোজপুরের বলেশ্বর ও সন্ধ্যা এবং চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় এ বছর ইলিশ মাছ ধরা পড়েনি। সাগরের ইলিশই এ বছর উঠেছে বাজারে। এদিকে জেলেদের জন্য গত ২১ দিন ইলিশ ধরা বন্ধের সময়ে বাংলাদেশের সাগর সীমায় ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা বেপরোয়াভাবে ইলিশ শিকার করেছে। ভারতীয় জেলেরা মা ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। তাদের মাছ ধরা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসনের বিষয়টি নিয়ে এর আগেও জেলার মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক ও শ্রমিকরা একাধিকবার মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ ধরা না পড়লেও সময় শেষ হয়ে যায়নি। অবশ্যই নদীতে ইলিশ আছে।  জেলেদের জালেও ধরা পড়বে। আমরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইলিশ পাব। তিনি বলেন, গত বছর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগের তিন দিন ও পরের এগারো দিনসহ মোট ১৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। আর এ বছর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে চার দিন ও পরের সতের দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ রয়েছে। ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় পার হওয়ার পরও মা ইলিশ সমুদ্রে ফিরে যাওয়ার পথে ধরা পড়ে। এ জন্যই এ বছর সময় ৭দিন বাড়িয়ে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এর সুফল পাওয়া যাবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply