একজন সাধারন মানুষ কেন নৌকায় ভোট দেবেন ?
জিল্লুর রহমান
বাংলাদেশের মানুষ কেন আবার নৌকায় ভোট দিবে এমন প্রশ্ন আমার মাঝেও একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে । আমি রাজনীতির কর্মী কিন্ত নাগরিক হিসেবে আমি একজন সচেতন মানুষ। আমি নিজে বর্হিবিশ্বে এই দেশের ব্রান্ডিং করি আমেরিকান কোম্পানীর প্রতিনিধি হওয়ার কারনে এই সুযোগ হয়েছে বিগত ৬ বছরে। মাথা উঁচু করে বড় বড় উন্নয়ন এবং এই দেশের মানুষের কর্মদক্ষতা , হাজার বছরের ইতিহাস , মসলিন কাপড় এইসব বলে মুগ্ধ করার চেষ্টা করি কিন্ত শুনতে হয় রাজনৈতিক অস্হিরতা , যানজট এইসবের কথা কিন্ত বিগত দশ বছর এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কারনে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সবাই দেখেছে । এক রানা প্লাজা নিয়ে যে রাজনীতি হয়েছিল সে দেশে ৩০০ এর অধিক গ্রীন ফ্যাক্টরীর তালিকা হয়েছে ।রপ্তানীতে পৃথিবীর তৃতীয় স্হান শুধু পোষাক রপ্তানীতেই হয়েছে । জীবনমান বেড়েছে বহুগুন এইসব সরকারের সদিচ্ছায় হয়েছে । দূর্নীতির অভিযোগ পৃথিবীর সব দেশেই আছে যেখানে বিশ্ব ব্যাংক নিজেই দূর্নীতিগ্রস্হ সেখানে অর্থ ছাড় করাতেতো ঘুষ দিতে হয় যেখানে গোড়াতেই ঘুষ সেখানে কিছু দূর্নীতি হবার পরেও উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে পারা অনেক চ্যালেন্জের ।একটা দেশে সব মানুষ যদি সাধু হয় ওই দেশে সবাই নিত্য কর্ম বাঁধ দিয়ে শুধু সন্যাসী হয়ে থাকত যা ধর্ম কখনো বলেনি তাই উন্নয়ন করতে হলে কিছু দূর্নীতি হবেই সেটা যত পার্সেন্টেই হোকনা কেন উন্নয়নেইতো হয়েছে । মহাখালী একটা ফ্লাইওভার করেই বিএনপি ইতিহাস করেছিলেন সেদেশে এখন জেলা শহরগুলোতেও মাইলের পর মাইল ফ্লাইওভার শুধু নয় মেট্রোরেলও হয়ে যাচ্ছে । আমরা মালেশিয়ার কথা বলি সেই মালোশিয়ায আমি ৫ বার গিয়েছি যার মধ্যে প্রথমবার বেড়াতে পরের বার ব্যবসার খোঁজে । সৌভাগ্য হয়েছিল বহু ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম গার্মেন্টস অথবা ম্যান পাওয়ার ব্যবসার কিন্ত ওখানেও দেখেছি কথায় কথায় মাহাথীর মোহাম্মদের ছেলের বন্ধু , ব্যবসায়িক পার্টনার পরিচয় দিতে । আমার কাছে এক বাঙ্গালী ছোট ভাই যিনি হোটেল ব্যবসা করেন তিনি নিয়ে এলেন একজন বয়স্ক ভদ্র মহিলাকে যার কাছে ২০০ ম্যান পাওয়ার নেওয়ার পারমিশন এবং বুকেতবিনতানে শফিংমল এ গার্মেন্টস বিক্রির স্কোপ আছে ।অপারটা লোভনীয় হওয়ায় ভদ্র মহিলাকে দুপুরের খাবারের দাওয়াত দিলাম । উনি যথারীতি আসলেন সাথে উনার ভাগিনা যিনি ইংরেজী বুঝেন । আমাকে একটা কাগজ দিলেন যেখানে লিখা ২০০ কনসট্রাকসান কাজের অভিজ্ঞ লোক নেবেন ।আমার কাজ এয়ারপোর্ট ম্যানেজ করা অথচ তখন মালেশিয়ায় লোক নেয়া বন্ধ আমি তা বলাতে ভদ্র মহিলা বললেন উনার ছেলে আর মাহাতীর মোহাম্মদের ছেলের বন্ধু তাই লোক পাঠাতে পারলে চাকরী দেয়া যাবে শুনে আমার কপাল কুচকিয়ে গেল মাহাথীর মোহাম্মদের ছেলে ২০০ লোক আনার ব্যবসায় জড়াবে এইকথা আমি বিস্বাস করবো ! মালেশিয়ীয অভূতপূর্ব উন্নয়নে অনেক দূর্নীতির কথা শুনেছি যেমনি সিঙ্গাপুরের লিং কোয়াঙ সম্পর্কে শুনেছি আসলে কতটুকু তা পরিমাপ না করে সেসব দেশের জনগন উন্নয়ন এবং তাদের জীবনমানের উন্নতির কথাই ভেবেছেন যারই প্রেক্ষিতে তাদের মাঝে সন্তষ্টির ডেকুর দেখেছি সবসময় আর আমরা বিরোধীতার খাতিরে সমালোচনা করতে পারি বলতে পারি বিরোধী দলের বা ভোটের কথা কিন্ত ভোটে না এলে কি করে বিরোধীদল ক্ষমতায় আসবে এই ভাবনায় কখনো যায়নি । দেশপ্রেম থাকলে মামলার ভয়ে সাবেক সেনাপ্রধান , রাষ্টপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক সাহেব কেন লন্ডনে বসে থাকবেন । রাজনীতিতে জেলজুলুম থাকবেই এবং এতেই জনগনের কাছে যাওয়ার সুযোগ হয় কিন্ত বাহিরে বসে কর্পোরেট রাজনীতি করা যায় মাঠের কর্মী তথা সাধারল মানুষের মন বুঝা যায়না যা প্রধান বিরোধীদের কর্ণধাররা করছেন । আমি যদি এইভাবে বলি যে ধারাবাহিক উন্নয়ন বজায় রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই সেটা ১০০% সত্যি তা বিএনপির কর্মীরা স্বীকার করেন তার পরেও তারা হয়ত বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা করছে। নৌকার জয় না হলে হাজার হাজার উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল হবে যা কখনো একজন সচেতন নাগরিকের কাম্য নয় ।তাই শেখ হাসিনার বিকল্প নেই । লেখক সাধারন সম্পাদক , জাতীয় পেশাজীবী পরিষদ ।
Chat Conversation End