২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:১৩/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ

কওমী ওলাময়ে কেরাম কে বিভক্ত ও সরকার বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাবু নগরীর পদত্যাগ: নেপথ্যে জমাত

     

কওমী সনদ বাস্তবায়ন পরিষদ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ আজ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ২০১৩ সালের আলোড়ন সৃষ্টিকারী কওমী মাদ্রাসা বিক্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও বেফাক সহসভাপতির পদ থেকে সম্প্রতি সময়ে পদত্যাগকারী দেশের অন্যতম বরণ্য আলেম আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পদত্যাগ নিয়ে কওমী অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। সরকার কর্তৃক  কওমী মাদ্রাসার দাওরা সনদকে মাষ্টার্স মান দেওয়াকে কেন্দ্র করে কওমী মাদ্রাসা বিভক্তি দল ও সংগঠনে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। জানা যায় এ বিভক্তির মূলে রয়েছে যুদ্ধ অপরাধী ও স্বাধিনতা বিরোধী শক্তি হরকাতুল জেহাদ। এ দুটি পরাজিত শক্তি সরকার বিরোধী আন্দোলন বাস্তবায়নের দূরভিসন্ধি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের দিয়ে আন্দোলন চাঙ্গা করতে বয়োবৃদ্ধ বর্ষিয়ান আলেম কে কৌশলে ব্যবহার করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এক সময়ের কট্টর আওয়ামী বিরোধী এ আলেম বিএনপি দলের রাজনৈতিক সাথে  জড়িত থাকলেও সময়ে তিনি যুদ্ধ অপরাধের অভিযোগ থেকে রেহায় পাইনি। এ শুবাদে তিনি যুদ্ধ অপরাধে অভিযুক্ত ও দন্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামী সালাউদ্দিন কাদেরের জানাজায় ইমামতির দায়িত্ব পান। বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে এবং কওমী মাদ্রাসার আলেম ওলামা যাতে করে সরকারের সাথে কোন রকম সখ্য গড়ে উঠতে না পারে এবং আগামী নির্বাচনে কওমী ঘরানার ভোট ব্যাংকে যাতে আওয়ামী লীগ ভাগ বসাতে না পারে এ লক্ষ সামনে রেখে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী কে মাঠে নামাচ্ছে জামাত বিএনপি ও হরকাতুল জেহাদ।
নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, বাবু নগরী প্রথম ধাপে হেফাজত বেফাক ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ করে কওমী আলেম ওলামদের আস্থা অর্জন করতে চায় এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেম আল্লামা আহমদ শফি কে বিতর্কিত করে কওমী আলেমদের মধ্যে বিভক্তি তৈরী করে মূলত জামাতি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। জামাত এ মিশনে অনেকটা সফলও হয়েছে। এ মিশন পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে তার (মুহিব্বুল্লাহ) মেয়ের জামাই জামাতের রোকন হাবিবুল্লাহ আজাদী এবং মাষ্টার আহসানুল্লাহ নামে জামাতের একবিশ্বস্ত সোর্স। যিনি হেফাজতের আন্দোলনের সময়ে বাংলাদেশের একটি নাম করা গোয়েন্দা বাহিনীর এজেন্ট হিসাবে আল্লামা আহমদ শফি সাহেবের আসে-পাশে থেকে নিত্য খবরাখবর সাপ্লাই দিতেন। এ দিকে এ মিশন এগিয়ে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে ৬৪ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা কারীদের অন্যতম মীর ইদ্রিস ও হরকাতুল জেহাদের চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার গোলাম রাব্বানী নাজির হাট, মীর ইদ্রিস হরকাতুল জেহাদ ও জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা কারী হিসাবে এক সময় বান্দরবন সীমান্ত থেকে জঙ্গি ট্রেনিংরত অবস্থায় বিডিআর এর হাতে গ্রেফতার হয়ে অনেক দিন দেশের বিভিন্ন জেলার কারগারে গ্রেফতার ছিলেন। জানা যায় গত ৩ অক্টোবর আল্লামা মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর জামাই হাবিবুল্লাহ আজাদী তার শশুর মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে ফটিকছড়ি আজাদী বাজার তার মাদ্রাসায় দাওয়াত দিয়ে সেখানে জামাতের পলসী মেকার পর্যায়ে কিছু নেতাসহ দাওয়াত দিয়ে মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সাথে বৈঠকের ব্যবস্থা করিয়ে দেন ঐ বৈঠক থেকে সমস্থ প্লেনিং চুড়ান্ত করা হয় এবং প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে হেফাজত বেফাক ও ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ এবং আল্লামা আহমদ শফিকে গালীগালাজ করে তার উপর থেকে মানুষের আস্তা নষ্ট করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার নীলনকশা  ঠিক করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত চট্টগ্রাম মহানগর পর্যায়ের এক জামাতের নেতা বলেন হুজুর আপনার আব্বা কত বড় বুজুর্গ আলেম ছিলেন। তিনি কখনো আওয়ামী লীগ সমর্থন করেননি আর বর্তমান আলেমদেরকে আহমদ শফি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে খাচ্ছে। আপনি বাবার সৎ ছেলে হিসাবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আহমদ শফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। আমরা যা যা ব্যবস্থা করার অবশ্যই করব। ফটিকছড়ি আজাদী বাজার এলাকায় বৈঠকে গোলাম রব্বানী ও আহসান উল্যাহসহ উপস্থিত ছিলেন কওমী ঘরানার ঐক্য  বিনষ্ট করে এবং কওমী ৭ সদস্য সনদের বিরোধীতা কারী হিসাবে পরিচিত জামাত শিবিরের এ পরিকল্পনা জনসমূখে ফাঁস হওয়ার পর হাব্বিুল্লাহ  বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়া সহ সংবাদকর্মীরা যোগাযোগ করলে তার সোজা ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে হেফাজতের দায়িত্বশীল এক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছি। আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ সাহেবের খবর আমরা পেয়েছি তা তার কোন পদত্যাগ পত্র হেফাজত আমির বা মহাসচিব পায় নাই আমরা এব্যাপারে দুঃখিত। বিবৃতি দাতারা হলেন, আল্লামা মনিরুল ইসলাম হোসানী, আল্লামা আবদুস সালাম, আল্লামা হোসাইন আহমদ, আল্লামা করিব হোসাইন, আল্লামা ছলিমউল্যাহ, আল্লামা ইয়াছিন হাবিব, আল্লামা সাজ্জাদ কাশেমী, আল্লামা আবদুল মালেক আফেন্দী, আল্লামা আতাউল্লাহ, মৌলানা আজিজুল হক, মৌলানা ফখরুল ইসলাম, মৌলানা শহিদ উদ্দিন, মৌলানা মাহাবুবুর রহমান, মৌলানা আহমদুল হক, মৌলানা আবু ওয়াক্কাশ প্রমুখ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply