২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৮:১৮/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত

     

 

আরফিন আরিফ

প্রাকৃতিক অপরুপ সুন্দরে ঘেরা চট্টগ্রামের নতুন সংযোজন সিতাকুন্ডের বাাঁশবাড়িয়া বীচ। সমুদ্র ঢেউ এর সাথে ঝাউ বাগানের সবুজ প্রকৃতি নিয়ে এক নির্মল পরিবেশ ভ্রমণ পিপাসু এবং প্রকৃতি প্রেমীদের খুব সহজেই আকৃষ্ট করছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরুণ তরুণী ছাড়াও মধ্যবয়স্করাও ভিড় করছে এখানে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের পছন্দের পিকনিক স্পট হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে এই বীচটি। বিশেষ করে শুক্রবারসহ অন্যান্য ছুটির দিনে এখানে দর্শনার্থীদের সমাগম চোখে পড়ার মত। এই স্থানটি মূলত সন্দ্বীপের নৌ-ঘাট হিসাবে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ছিলো। এখানে বসানো হয়েছে দীর্ঘ এক কিলো মিটারের লোহার সাাঁকো। যা মূলত দর্শকদের আকৃষ্ট করে। তবে এ বীচের আসল সৌন্দর্য্যটি রয়েছে ঘাটের উত্তর পার্শে অবস্থিত সমুদ্রতীরের ঝাউ বনটি। ঝাউ বনের সাথে মিশে অছে ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে পড়া মাটির খন্ড। যেগুলো দেখতে অনেকটা ছোট বড় সবুজ পাহাড়ের মত মনে হয়। জোয়ারের পানিতে যখন ভরে যায় কিনারা তখন মনে হয় যেন পাহাড়ের পাদ-দেশে হ্রদ বয়ে গেছে। চোখে পড়ে তখন সাদা ধুসর রংয়ের বক সহ নানান পাখি। বাাঁশবাড়িয়া বীচে এসে যদি আপনি উত্তরের এ সুদৃশ্য ঝাউ বনটি উপভোগ না করেন তবে আপনার ভ্রমণটি বৃথা হতে পারে। ঝাউ বনটি কিছুটা নির্জন হওয়াতে একা-একি যাওয়া কিংবা প্রেমিক যুগলদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
বীচটিতে যেতে চাইলে আপনাকে চট্টগ্রাম সিটি গেট থেকে হাইওয়ে ধরে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে বাঁশবাড়িয়া বাজারে পৌছাতে হবে। বাজার থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে গুলিয়াখালি নামক স্থানে বীচটি অবস্থিত।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply