৩ মে ২০২৪ / ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:১১/ শুক্রবার
মে ৩, ২০২৪ ৪:১১ পূর্বাহ্ণ

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার নদীর ভাঙ্গনে ৭ শতাধিক বসতবাড়ি বিলীন হুমকির মুখে স্বাস্থ্য কেন্দ্র

     

গোলজার রহমান
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তার নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ৭ শতাধিক বসতবাড়ি, আবাদী জমি বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ কয়েকটি স্থাপনা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পানির তীব্র ¯্রােতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো হচ্ছে কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার, পোড়ার চর, কালাই সোতার চর, শ্রীপুর ইউনিয়নের পুটিমারী, বেলকা ইউনিয়নের চর বেলকা, কিশামত সদর, বেলকা নবাবগঞ্জ, হরিপুর ইউনিয়নের লখিয়ারপাড়া, পাড়া সাদুয়া, হাজারির হাট, কাশিমবাজার, হরিপুর খেয়াঘাট, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি, কামারের ভিটা, মালভাঙ্গা। আবাদী জমিসহ বসতবাড়ি হারিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। বেলকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জানান তার ইউনিয়নে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ইতোমধ্যে চর বেলকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় ওই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকার জানান তার ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ২৮৭টি পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এর মধ্যে ২ নং ওয়ার্ডে ২৫ পরিবার, ৩ নং ওয়ার্ডে ২৫ পরিবার, ৬ নং ওয়ার্ডে ১৫০ পরিবার, ৭ নং ওয়ার্ডে ৪৭ পরিবার ও ৮ নং ওয়ার্ডে ৪০ পরিবার। চেয়ারম্যান আরো জানান হুমকির মুখে পড়েছে শতাধিক বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শত শত হেক্টর আবাদী জমি। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল আলম সরকার জিমি জানান তার ইউনিয়নে ৩০০ পরিবারের বসতবাড়ি ও আবাদী জমি বিলীন হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, এ পর্যন্ত উপজেলায় ৭০০ পরিবারের বসতবাড়ি ও আবাদী জমি তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়েছে। এদিকে ভাঙ্গন কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply