২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:৪৮/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ২:৪৮ অপরাহ্ণ

ইতোমধ্যেই অর্ধ-লক্ষাধিক রোহিঙ্গার প্রবেশ!

     

মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী  শরণার্থী শিবিরের বস্তিতে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা নর-নারী ও শিশু প্রবেশ করেছে। সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাধীন ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকার রেজু আমতলী, বাইশপারী, তুমব্রু, উখিয়ার আঞ্জুমান পাড়া, কলাবাগান, মাঝের পাড়া, ধামনখালীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এসব রোহিঙ্গারা প্রবেশ করেছে। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের উপর নির্যাতন, জুলুম, নিপীড়ন, ঘর বাড়িতে আগুন, মানুষ হত্যা অব্যাহত রেখেছে।
বৃহস্পতিবার তুমব্রু সীমান্ত এলাকাঘুরে দেখা যায়, ওপারে হাজারো রোহিঙ্গারা জিরো পয়েন্ট এলাকায় তাবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের তুমব্রুতে অন্তত ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ঘিরে রেখেছে বিজিবি সদস্যরা। নির্যাতনের শিকার জখম রোহিঙ্গাদের বিজিবি সদস্যরা চিকিত্সা সেবাও দিয়েছেন।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তির সভাপতি আবু ছিদ্দিক জানান, এ পর্যন্ত তাদের ক্যাম্পে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা নরনারী ও শিশু ঢুকে পড়েছে। বালুখালী ক্যাম্পের লালু মাঝি জানান, এ বস্তিতে প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। নতুন রোহিঙ্গাদের জন্য ঝুপড়ি নির্মাণ করে বসবাস করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ, তারা পালিয়ে আসার সময় সাথে করে নিয়ে আসা গরু, ছাগল, লুটপাট করেছে সীমান্তের লোকজন।
কুতুপালং ক্যাম্প ঘুরে তাদের তথ্যমতে, দুই জন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা হলো ফকিরা বাজার চিকন ছড়ির ছৈয়দ উল্ল­ার ছেলে মো. ফারুক ও মংডুর হাতিপাড়ার রশিদ উল্লার ছেলে জুনায়েদ ও ছাদেক, মুজিব উল­াহ। তাদের চারজনের মধ্যে দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মিয়ানমারের মেদিনি পাড়ার বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ জানান, ১২টি গ্রামের ১০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে সীমান্ত এলাকায়। তারা গত ৬ দিন ধরে অনাহারে রয়েছে।
৩৪ বিজিবির ডাক্তার শহিদুল ইসলাম জানান, গত ২ দিনে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী পুরুষ, শিশুকে প্রাথমিক চিকিত্সা, দেয়া হয়েছে তুমব্রু এলাকায়। অনুরূপ রেড ক্রিসেন্টের লোকজন তুমব্রুতে আটকা পড়া রোহিঙ্গাদের পানি ও শুকনা খাবার দিচ্ছে বলে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে।সৌজন্য ইত্তেফাক

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply