শহীদ ফারুকীর ঘাতকদের শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম শহীদ মিনার চত্বরে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রসেনার বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্রসমাবেশ
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শহীদে মিল্লাত আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী (রহঃ)’র তৃতীয় শাহাদাৎ বার্ষিকীতে খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে গত ২৭ আগস্ট বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম শহীদ মিনার চত্বরে বিশাল ছাত্র সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ রিয়াজ হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সচিব মাওলানা গাজী মনজুরুল করিম রেফায়ী। উদ্বোধক ছিলেন নগর দক্ষিণ ইসলামী ফ্রন্ট সভাপতি নুরুল ইসলাম জিহাদী। প্রধান বক্তা ছিলেন, ফারুকী হত্যা মামলার বাদী ও ছাত্রসেনার কেন্দ্রিয় অর্থ সম্পাদক ইমরান হোসাইন ত্ষুার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী ফ্রন্ট নগর দক্ষিণ সেক্রেটারি মাওলানা আশরাফ হোসাইন, খোদ্দামুল মুসলেমীন মদিনা মনোয়ারা শাখার সেক্রেটারি এস এম আইয়ুব মিয়াজী, নগর যুবসেনার সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দিকী, নগর ছাত্রসেনা সাবেক সভাপতি নুরুল্লাহ রায়হান খান, সৈয়্যদ মুহাম্মদ খোবাইব, মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।
মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আলমগীর ইসলাম বঈদী, মাওলানা মুহাম্মদ মুছা, এটিএম আবু তৈয়ব, এম সাইফুল ইসলাম নেজামী, গোলাম তাহের, মুহাম্মদ ফোরকান কাদেরী, মুহাম্মদ রেজাউল করিম ইয়াছিন, আতিকুর রহমান, আব্দুল আলিম, আমির হোসেন, রবিউল হাসান রুবেল, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কাদেরী, মোয়াজ্জেম হোসেন মাসুম, আবদুল্লাহিল তারেক, জহির উদ্দিন, শিহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আহমদ শফি প্রমুখ।
প্রধান অতিথি গাজী মনজুরুল করিম রেফায়ী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি বাংলাদেশকে গ্রাস করে ফেলেছে। দেশে আইনের শাসনের যথাযথ প্রয়োগ নাই। ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট নিজ বাসভবনে জঙ্গিবাদীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন আল্লামা শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকী (রহ.)। তাঁর খুনের তিন বছর পার হয়েছে, অথচ সরকার খুনিদের এখনো চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে পারেনি। আল্লামা ফারুকীর খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারে ব্যর্থ হওয়ায় খুনি জঙ্গিবাদীরা এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
উদ্বোধনী বক্তব্য নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, আল্লামা ফারুকী (রহঃ)’র মত বিশ্ব বরেণ্য আলেমের হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুনীদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিলেও বর্তমানে সরকার ও প্রশাসনের নীরবতায় প্রমাণিত হচ্ছে ফারুকী হত্যার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ফারুকী হত্যা মামলার বাদী ইমরান হোসাইন তুষার বলেন, ফারুকী হত্যার সাথে জড়িত জঙ্গিবাদে মদদদাতা ৬ টিভি উপস্থাপকের নামে সিএম কোর্টে নালিশী মামলা করার পর আজ পর্যন্ত তাদেরকে প্রশাসন গ্রেপ্তার করেনি। প্রশাসন ও সরকারের ব্যর্থতার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ৬টি উপস্থাপক কে গ্রেপ্তার করলে ফারুকী হত্যার মূল্য তথ্য উদ্ঘাটন হবে।
ছাত্র সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।