৫ মে ২০২৪ / ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:৩৬/ রবিবার
মে ৫, ২০২৪ ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ

তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি লোহাগাড়া, কলাউজানে জয় মা দুর্গা সমিতির নামে ঋণ

     

লোহাগাড়া থানার অন্তর্গত কলাউজান নাথ পাড়ায় কিছু তুরুণ যুবক একত্রিত হয়ে কোন সরকারি অনুমোদন না নিয়ে “জয় মা সমিতি’র” নামে উচ্ছ সুদে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ভুলভালবুঝিয়ে সমিতির যুবকরা মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অঙ্কের টাকা। ঋণ নিয়ে কোন গ্রহীতা যদি তাদের চাহিদা মত সুদদিতে না পারে তাকে নানারকম ধমক ও সুদের দ্বিগুণ টাকা দিতে হয়। এই সমিতি কয়েক বছর ধরে এলাকার কিছু লোককে সাথে নিয়ে চালিয়ে আসছে এই “জয় মা দুর্গা” সমিতির নামে ঋণ কার্যক্রম। বিভিন্ন ঋণদান সমিতির নির্দিষ্ঠি আইন কানুন থাকলে ও তা “জয় মা দুর্গা” সমিতির কোন নির্দিষ্ঠি আইন নানুন নেই।
লোহাগাড়া থানার কলাউজান নাথ পাড়ায় “জয় মা দুর্গা” সমিতি গঠনের পর থেকে এলাকার তরুণ রুবেল নাথ, সুজন কান্তি নাথ, আশু কান্তি নাথ, সজল কান্তি নাথ মিলে চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন জয়গায় “জয় মা দুর্গা সমিতির” ঋণ বিতরণ করে। কোন লোক যদি ঋণের কিস্তির টাকা সময় মত দিতে না পারে তাহলে ঋণ গ্রহীতার জামিনদারকে ঋণের কিস্তির টাকা দিতে বাধ্য করে।
সমিতির সদস্য, সুজন কান্তি নাথ, লোহাগাড়া কৃষি অফিসের কর্মকর্তা, রুবেল নাথ, মুন্সি, আশু কান্তি নাথ, মোটর মেকানিক ও সজল কান্তি নাথ, প্রবাসি। এরা মিলে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার নামে মানুষকে জিম্মি ও অপহরণ করে সমিতির ঋণের কিস্তির নামে মুক্তিপণ আদায় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
অভিযোগে জানা যায়, গত শুক্রবার (২৫.০৮.১৭) ২৫ শে আগষ্ট সকাল আনুমানিক ৯ টা ৪০ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্থক মোড় থেকে আকাশ দেবনাথ নামের এক ছেলেকে (রুবেল নাথ, সুজন কান্তি নাথ, আশু কান্তি নাথ, সজল কান্তি নাথ মিলে) তুলে নিয়ে মুক্তিপণে জন্য পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের চাহিদা মত টাকা দেওয়ার সামর্থ না থাকায় লোহাগাড়া থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ছটার সময় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আকাশ দেব নাথ’কে চট্টগ্রামের প্রবর্থক থেকে লোহাগাড়া নিয়ো যাওয়ার ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে বলেন। আকাশ দেব নাথ’কে লোহাগাড়ায় (রুবেল নাথ, সুজন কান্তি নাথ, আশু কান্তি নাথ ও সজল কান্তি নাথ মিলে) নিয়ে আসার খবর পাওয়ার পর আমরা তাকে উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসি এবং তার জবানবন্ধি নিয়ে তাকে শহরে পাঠানো হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply