৩ মে ২০২৪ / ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:০১/ শুক্রবার
মে ৩, ২০২৪ ৯:০১ অপরাহ্ণ

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ফিউজ হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

     

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস করেও নির্বাচনের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আমেজকে কোনভাবেই ম্লান করতে পারেনি, তাদের অগ্নি সন্ত্রাসেও কোন কাজ হচ্ছে না। অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কার্যত বিএনপি’র নির্বাচন বর্জনের ডাক ফিউজ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এগুলো দেখে বিএনপি এখন দিশেহারা হয়ে গেছে। তারা এখন অসহযোগ কর্মসূচি দিয়েছে। বিএনপি’র নেতাকর্মীরাই এই অসহযোগ কর্মসূচিতে তাদের সহযোগিতা করছে না। যেহেতু তাদের নেতাকর্মীরা কোনভাবেই সাড়া দেয়নি, সুতরাং এই অসহযোগ কর্মসূচি বিএনপি’র ক্ষেত্রেই সফল।

২৩ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রতি আসনে গড়ে সাড়ে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যে সমস্ত বিদেশীদের কাছে বিএনপি বারে বারে ধর্ণা দিত, সেই বিদেশিরাও এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, নির্বাচনে যাতে কেউ বাঁধা না দেই, সেই কথাই বলছে। অর্থাৎ, নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার, এই সমস্ত বিষয় এখন আর নেই। এখন নির্বাচনটা কিভাবে সুষ্ঠু করা প্রয়োজন সেটি নিয়েই সবাই পরামর্শ দিচ্ছে। তিনি বলেন, ২২ডিসেম্বর এবং এর আগেও জাতিসংঘের বিবৃতি এবং ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনে যাতে কেউ বাঁধা না দেয়, অর্থাৎ সহিংসতা না হয়। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন তারা দেখতে চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন নির্বাচনকালে যেন সহিংসতা না করে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করার জন্য। সত্যিকার অর্থে দেশে অত্যন্ত সুন্দর এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেজন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমূখর হবে এটি অনুধাবন করতে পেরে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নি সন্ত্রাসকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছে। তারা এখন ট্রেনে হামলা চালানো শুরু করেছে, কয়েকদিন আগে যেভাবে ট্রেনে ঘুমন্ত মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মা এবং শিশু সন্তানসহ চারজনকে হত্যা করেছে এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। সবচে বড় ব্যাপার, সেটি যত না নৃশংস ও বিভৎস ছিল, তারচেয়েও নৃশংস ও বীভৎস মিথ্যাচার করেছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদসহ অন্যরা। তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন সব সময় একটি উৎসব, সে নির্বাচনী উৎসব প্রকৃতপক্ষে এখন বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেছে। এতে করে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের যে ডাক দিয়েছিল সেটি ভন্ডুল হয়ে গেছে। তারা শুরুতে মনে করেছিল নির্বাচন হবে না, এখন তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, নির্বাচন তো হচ্ছেই, সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হচ্ছে। গণমাধ্যম জুড়েও এখন নির্বাচনী বিষয় স্থান পাচ্ছে। চট্টগ্রামের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সামনে আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা কোনভাবেই কাম্য নয়, যে বা যারা করছে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। নির্বাচন কমিশন সে ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমাদের দলেরও কেউ করলে সেটি আমরা বরদাস্ত করব না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে জনগণকে না আসার জন্য বিএনপি লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা চালাচ্ছে, এটি কাটিয়ে জনগণকে কিভাবে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এ ধরনের লিফলেট বিতরণ করে মূলত ঢাকা শহরে ফটোসেশন করা হয়। সকাল বেলা যখন মানুষ ঘুম থেকে উঠে না, তখন দৌড় দিয়ে একটা মিছিল করা হয়, আর একটা ছবি তোলা হয়। এগুলোর কোন ইমপ্যাক্ট নির্বাচনে নাই। চট্টগ্রাম মেডিকেলে আইসিইউ বেডের সংকট রয়েছে, আগামী ২৭ তারিখ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য সেখানে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার প্রতিটি জেলা শহরে আইসিইউ বেড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, অনেক জেলা শহরে স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলের জন্য একটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, সেটি হলে সেখানে শুধু আইসিইউ নয়, সমস্ত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্বাস্থ্য সেবার সাথে যুক্ত একটি চক্র চায় না সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাক। সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেলে যেসব প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল আছে সেগুলোর ব্যবসা কমে যাবে। এই চক্রটা সরকারি হাসপাতালগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধক।

পত্র-পত্রিকায়ও রিপোর্ট বেরিয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেলে ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে, সেগুলো বছরের পর বছর তালাবদ্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার কিনে দেয়ার পরও যারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে চাই না, সেগুলোকে চালু করে না, এরা আসলে জনগণের বিপক্ষে কাজ করছে এবং এটি কোনভাবেই কাম্য নয় বললেন  তথ্যমন্ত্রী।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply