৩ মে ২০২৪ / ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:২৬/ শুক্রবার
মে ৩, ২০২৪ ৪:২৬ পূর্বাহ্ণ

 বিপিসির লোকসানঃ কর্ণফুলীতে নাছির ও বাকলিয়ায় মানিকের তেল চুরির অবাধ রাজত্ব !

     

কর্ণফুলী ও বাকলিয়া প্রতিনিধি

কোনভাবেই থামছে তেল চুরি। কর্ণফুলী ও বাকলিয়ায় চলছে এই তেল চুরির রমরমা ব্যবসা। কর্ণফুলীতে হাজার হাজার লিটার জ্বালানি তেল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তেলবাহী জাহাজ থেকেই চুরি হয়ে যাচ্ছে রাতের আধারে। আর ওই জ্বালানি তেল চুরির সাথে খোয়াজ নগর, আজিম পাড়ার মরহুম আব্দুল সোবাইনের ছেলে মোহাম্মদ নাছির (প্রকাশ বেনসন নাছির) জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া ডিপো কর্মকর্তা ও জাহাজের লোকজন এই তেল চুরির সাথে জড়িত রয়েছে ।

বছরের পর বছর ধরে এই চোরা তেলের কারবার চললেও কোনো প্রতিকার বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই কর্ণফুলীর নদীর বুকে নোঙ্গর করা তেলের জাহাজ থেকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো থেকে চোরাকারবারিদের গভীর রাত পর্যন্ত তেল চুরির মহোৎসব চলে।

তেল চোরাকারবারি বেনসন নাছির তার সিন্ডিকেটের লোকজন দিয়ে নদীর দুই পাড়ে অনেকগুলো অবৈধ তেলের দোকান গড়ে তুলেছে। ওসব চোরাই তেল দোকান হয়ে পাইকারি ও খুচরা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায়। ছোট ছোট দোকান, অয়েল ফিলিং স্টেশন, গাড়ির গ্যারেজ, বড় শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন জায়গাতেই ওই চোরাই তেল যায়। যার কারণে বিপিসি সারা বছর লোকসান গুনে।

সরেজমিনে নরুল ইসলাম চেয়ারম্যান জামে মসজিদ ফকির মামার মাজারের ডান পাশে বেনসন নাছিরের চোরা তেলের ডিপোতে গিয়ে দেখা যায়, বেনসন নাছির বিস্পোরক অধিদপ্তরের ‘জে ফরম’ লাইসেন্সসহ ডিজেল ও কেরোসিন ব্যবসার গ্রাম্য লাইসেন্সের আড়ালে সাগরে থাকা বড় বড় জাহাজ মাদার ভেসেল থেকে বন্দরের ছোট ছোট জাহাজ, কান্ডারী, জরিপ, আলী, ঝর্ণা থেকে রাতের গভীরে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার তেল চুরি করছে। যা তার ডিপুতে মজুদ রেখে ট্রাক যোগে পাচার করছে। তার ওই ডিপুতে নেই কোন অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রাতের আধাঁরে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে এই কারবার করছেন বেনসন নাছির।

এমনকি রাতের আধারে তেল চুরির আড়ালে বিভিন্ন মাদকসহ বিদেশি চোরাই পণ্য খালাস করে বলেও জানান নাম প্রকাশ না করা অনেক সাম্পান মাঝি। এ কাজের জন্য বেনসন নাছিরের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীরাও। বেনসন নাছিরের সুনির্দিষ্ট কোন বৈধ ব্যবসা বানিজ্য না থাকলেও সে বিস্পোরক অধিদপ্তরের ‘জে ফরম লাইসেন্সকে’ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে চোরা তেলের ব্যবসা করছেন।

সুত্র জানায়, রাতের আধারে পুরাতন ব্রীজঘাট, চরপাথরঘাটা সাম্পান-মাঝি সমিতির ঘাট দিয়ে হাজার হাজার লিটার তেল চুরি করে বেনসন নাছির তার অবৈধ ডিপুতে মজুদ করে তা ভোরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেয়। যাতে সকাল হতে না হতেই কেউও চোরা তেল এমনটা যাতে বুঝতে না পারে।

বেনসন নাছিরের এই অপকর্মে কেউ মুখ খোলার সাহস করে না। তার এই ক্ষমতার পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতা ও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা। তাদের যোগসাজশে ও আশ্রয় প্রশ্রয়ে তেল চুরি হচ্ছে বন্দর, কর্ণফুলীর জুলধা, ডাঙ্গারচর, শিকলবাহা সহ অনেক ঘাটে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, চোরাকারবারি বেনসন নাছিরসহ বেশির ভাগ তেল চোরের বাড়ি চট্টগ্রাম বন্দর ও কর্ণফুলী এলাকায় বলে জানা যায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব তেল চোরাকারবারীদের সবচেয়ে বড় আস্তানা রয়েছে জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর ৯ নং ঘাট ও পুরাতন ব্রিজ ঘাটের সাম্পান মাঝি সমিতি ঘাট। বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানী পদ্মা, মেঘনা, যমুনার তেলের পাইপ ছিদ্র করে প্রতিদিন রাতে বিপুল পরিমাণ তেল চুরি করে সেখানে মজুদ করা হয়।

রাতে  তেল পাচারের সহায়ক নৌ-যান হিসেবে বেনসন নাছিরের রয়েছে নিজস্ব নৌকা আর স্পীডবোট। এসব অপকমের্র মূল সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখিত জাহাজ ও ডিপোর এক শ্রেণির কর্মকর্তা এবং জাহাজের কতিপয় কর্মচারীর যোগসাজশে নিয়মিত তেল চুরি হচ্ছে। আর চুরি করা তেলে ওই এলাকায় গড়ে উঠেছে তেলের কালোবাজারী ব্যবসা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিদেশ থেকে আমদানি করা পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত তেল প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। সেখান থেকে ছোট জাহাজযোগে বিতরণ কোম্পানির ডিপোতে সরবরাহ করে বিপিসি। চট্টগ্রাম থেকে যে পরিমাণ তেল জাহাজে ভরা (লোড) হয়, একই পরিমাণ তেল জাহাজগুলোকে গন্তব্য ডিপোতে খালাস (আনলোড) করতে হয়।

বড় জাহাজ থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে ছোট জাহাজগুলো বিভিন্ন ডিপোতে পৌঁছে। কিন্তু লোডিং পয়েন্টের তেলের পরিমাণ এবং আনলোডিং পয়েন্টের তেলের পরিমাণে ৫০/৬০ হাজার লিটারের গড়মিল পাওয়া যায় সবসময়। মূলত চুরির কারণে ওই গরমিল হয় বলে জানা বিপিসি।

সম্প্রতি বিপিসির নিজস্ব তদন্ত দলও তেল চুরির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা যায়। কর্ণফুলী নদীর দুপাশে নামে-বেনামে অসংখ্য তেলের দোকান রয়েছে। ওসব তেলের দোকানে অধিকাংশেরই পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তেল কোম্পানির সঙ্গে কোনো চুক্তি নেই। যার কারণে তেল কালোবাজারির সঙ্গে স্থানীয় অনেক নেতা ও তাদের কর্মী-অনুসারীরা জড়িত।

 

সূত্র আরো জানায়, বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে বন্দরে এসে তেল খালাস হওয়ার আগ পর্যন্ত যে কয়দিন জাহাজগুলো নদীতে অপেক্ষমাণ থাকে, প্রতিরাতেই ওসব জাহাজ থেকে তেল চুরি হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ থাকাই সবসময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আবার বিপিসি বা পেট্রোলিয়াম ডিপোগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা থাকাই এ ব্যাপারে কেউ তেমন কোন অভিযোগ করে না বলেই তারা পার পেয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মোহাম্মদ নাছির একসময় চোরাকারবারিদের ব্লেকি বেনসন সিগারেট কেরি করত, তখন থেকে তার নাম  বেনসন নাছির হিসেবে পরিচয় পায় , চোখের সামনে এখন বেনসন নাছির চুরি করা তেল বিক্রি করে এখন বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার অর্থ বিত্তের মালিক।

এমনও শোনা যাচ্ছে, ঘাটে ঘাটে মোটা অংকের টাকা দিয়ে দিনে ১০ লাখ টাকার সরকারি তেল চুরি করছে বেনসন নাছিরের সিন্ডিকেট। কিন্তু প্রশাসন দেখেও দেখছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, কর্ণফুলীর প্রতিটি ঘাট ও প্রশাসন বেনসন নাছিরের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও প্রশাসনের মাসিক চাঁদার পরিমান নাকি ১০ লক্ষ টাকা প্রায়। যার একটি অংশ, চট্টগ্রাম শহরের প্রভাবশালী এক নেতা, বন্দর এলাকার হর্তাকর্তা, দলীয় পদে থাকা কর্ণফুলী উপজেলার কয়েকজন নেতাকর্মী, বন্দর, ইপিজেড, কর্ণফুলী এলাকার স্থানীয় প্রশাসন।

চোরা তেল ব্যবসার সাথে মাদকসহ নানা জাহাজি পণ্য চুরি তার সাথে মানব পাচারের মতো নানা অভিযোগ উঠেছে বেনসন নাছিরের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, প্রতি মাসে শহরের আগ্রাবাদের একটি বিলাস বহুল হোটেল ও পতেঙ্গা বোট ক্লাবে ক্ষমতাসীন দলের পদে থাকা নেতাদের নিয়ে বিলাসি আড্ডার ফাঁকে মাসোয়ারার হিসাব মিটিয়ে নেয় বেনসন নাছির। এলাকাবাসী অভিযোগ আরো জানায়, বেনসন নাছিরসহ তার সেন্ডিকেট আজ জিরো হতে হিরো।অবৈধ চোরাকারবারি করে বিপুল সম্পত্তির মালিক ও জমিজামার দখল-বেদখল বানিজ্য করে টাকার কুমির বনে গেছেন সে।

ধরাকে সরা জ্ঞান করে কিছু প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের হাত করে বেনসন নাছির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে কর্ণফুলীর সম্পূর্ন তেলচুরির ব্যবসা। যার রাজত্ব কায়েম চলছে কর্ণফুলী নদী আর সাগর চ্যানেলে। গড়ে তুলেছেন সে টাকার পাহাড়। প্রসাশন ম্যানেজ থাকায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই নাছির। ফলে বছর শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানীগুলো লোকসানে পড়ছে। এসব লোকসান উত্তরণের পাশাপাশি চোরাকারবারী বেনসন নাছিরকে আইনের আওতায় আনার জোরদাবী ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

পুরান ব্রিজঘাট সাম্পান মাঝি সমিতির অফিসের খালের মুখ। এ স্থান দিয়ে রাতে চোরা তেল উঠায়।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময় তেল চুরির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিপিসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।  তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনও জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে জাহাজ ও ডিপু থেকে তেল চুরির সত্যতাও পায় বিপিসি। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে তেল চুরি প্রতিরোধে ১১টি সুপারিশ বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছে কমিটি। তেল চুরির সাথে জাহাজের সুপারভাইজার এবং পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, পেট্রোলিয়ামের ডিপো ইনচার্জরা জড়িত থাকার প্রমাণও মেলে।

এদিকে বিপিসি সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্ণফুলীর পাড়ে নামে-বেনামে জ্বালানি তেল সরবরাহ ও ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান খুঁজে পেয়েছে বিপিসির তদন্ত দল। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অবৈধ তেলের দোকান উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে এখনো ওসব অবৈধ দোকানপাটগুলো উচ্ছেদ হয়নি। বরং বহাল-তবিয়তেই তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমনকি তদন্তে যেসব চোরাকারবারির নাম এসেছে তারা এবং তাদের অনুসারীরা ডিপো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে বলেন তেল চোরদের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের যে নামগুলো এসেছে তাদের ব্যাপারে আরো তদন্ত করতে এবং তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখতে দুদককে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রি পরিষদ সচিবের মাধ্যমে এ বিষয়ে চট্টগ্রামের ডিসিকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা ও নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে, ভেজাল ও চোরাই তেল বিক্রির মহোৎসব চলছে বাকলিয়ায় । বাকলিয়া থানার কর্ণফুলী ব্রীজের উত্তরে রাজাখালীর দক্ষিণে রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে এই দুই নম্বরী তেলের অবৈধ কর্ম চলছে দেদারসে। পার্শ্বে রয়েছে একটি বরফ মিল।

জানা গেছে, বিভিন্ন জাহাজ ও বাস, ট্রাকের ড্রাইভারগণ অধিক লোভে পড়ে অধিক আয়ের আশায় গাড়ির জ্বালানী তেল ডিজেল ও অকটেন চুরি করে প্রতিদিন। এসব চোরাই তেল কিনে নেয় জনৈক মানিক। এই মানিক নগর ও জেলার হাজার খানেক চোরের সাথে সম্পর্ক করে এই চুরি করা তেলের ব্যবসা করে থাকে। গাড়ি ও জাহাজের তেল কেনার পর সে আরেকবার অকটেনের সাথে ডিজেল ও কেরোসিন মিশ্রিত করে ভেজাল করে থাকে। ফলে কিনতে একবার লাভ করে আবার বেঁচতেও একবার। এভাবে চোরদের উৎসাহ জুগিয়ে সে অধিকাংশ গাড়ি চালকদের এই কুপথে নিয়ে আসে। ফলে গাড়ি মালিকগণ তেল চুরির ক্ষতি ও গাড়ির আয়ুকাল কমে যাবার কুফল দুইদিকে লোকসান দিতে হচ্ছে।

এদিকে তার তেলের রমরমা ব্যবসা এখানে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে। দিন-দুপুরে প্রকাশ্য সে এই চোরাই ব্যবসা করে অবৈধ টাকা-কামিয়ে পরিবেশ বিষিয়ে তুলছে। এই ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ তাদের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই।

চোরাই তেলের ব্যবসায়ী মানিক এই সম্পর্কে বলে বেড়াই সে সকলকে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। স্থানীয় লোকেরাও এই ম্যানেজের কারণে ডরে-ভয়ে কিছুই বলে না।স্হানীয় লোকেরা যে কোন মূহুর্তে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে আশংঙ্কা করে আসছে।

জানা গেছে, এ ছাড়াও আলাউদ্দিন, মুহামদুল হক ও আনোয়ার কর্ণফুলী ব্লীজ এলাকায় কম দামে চোরাই কিনে ভেজাল করে বেশী দামে বেঁচে বলে জানা গেছে।

টেলিফোনে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মানিক বলে আপনি আমাদের দোকানে আসেন। আমরা পুলিশ, ডিবি, কমিশনার ও স্থানীয় সকলকে ম্যানেজ করে এই ব্যবসা করে থাকি। সেলিম ও মাসুদ বাকলিয়া থানা পুলিশের নামে এই চোরাই তেল ব্যবসায়ী মানিক থেকে মাসোহারা নেয় বলে একটি সুত্র দাবী করছে ।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply