৯ মে ২০২৪ / ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:১৮/ বৃহস্পতিবার
মে ৯, ২০২৪ ৮:১৮ অপরাহ্ণ

কালুরঘাট সেতুতে বন্ধ হচ্ছে যানবাহন চলাচল মানুষ পারাপার নদীপাড়ে প্রস্তুত ফেরি

     

বোয়ালখালী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের ৯২ বছরের পুরনো জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ যে কোনো সময় শুরু হবে। সেতুর সংস্কার কার্যক্রম শুরু হলে সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল ও মানুষের পারাপার সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

এ দিকে কালুরঘাট কর্ণফুলীর নদীতে ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কালুরঘাট সেতু বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে টোলের মাধ্যমে চালু হবে ফেরি। সেতুর সংস্কার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত টোল সার্ভিস চালু রাখা হবে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার আগে কালুরঘাট সেতু মজবুত করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, কালুরঘাট সেতুর নিচে তিনটি ফেরি ফেরি সার্ভিস চালু থাকবে। তিনটির মধ্যে দুটি ফেরি চলাচল করবে, একটি অপেক্ষমাণ থাকবে। গত শুক্রবার থেকে তিনটি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সেতুর কাজ শুরু না হওয়ায় ফেরি দিয়ে যানবাহন পার হচ্ছে না।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কালুরঘাটে ফেরি সার্ভিস পারাপার করতে প্রতি টোল হারে ট্রেইলারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে ৫৬৫ টাকা, হেভি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ৪৫০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক (২ অ্যাক্সেল বিশিষ্ট) ২২৫ টাকা, ৩১ আসনের ঊর্ধ্বে বড় বাস ২০৫ টাকা, মিনি ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান (পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর) ১৩৫ টাকা, ৩০ যাত্রী বহনের উপযোগী মিনিবাস ও কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস ৯০ টাকা, ফোর হুইল চালিত যানবাহন (পিকআপ, কনভারশন করা জিপ, র্যাকার) ৯০ টাকা, নিডার কার ৫৫ টাকা, অটোভ্যান, ব্যাটারিচালিত তিন-চার চাকার মোটরযান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা। এছাড়া রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল, ঠেলাগাড়িকে ৫ টাকা করে টোল চার্জ দিতে হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে এই কালুরঘাট সেতুটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে।

পুরনো কালুরঘাট সেতুকে সংস্কার করে চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উপযোগী করে তোলার জন্য বুয়েটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কালুরঘাট সেতু দিয়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে ১০ টন ভারী ইঞ্জিন চলাচল করে। সেতু পার হওয়ার সময় গতি থাকে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার। তবে আগামীতে কক্সবাজারগামী ইঞ্জিনের ওজন হবে ১২-১৫ টন।

ট্রেনের গতি হবে ৮০-১০০ কিলোমিটার। এ কারণে সংস্কার ছাড়া দোহাজারী-কক্সবাজার রেল যোগাযোগের সুফল মিলবে না বলে মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ। এ দিকে প্রধানমন্ত্রী নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply