২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:২৮/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ১:২৮ পূর্বাহ্ণ

ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (৩৩১) ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী সমীপে

     

মাননীয়,

 সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী সমীপে,

শ্রদ্ধেয় নদভী ভাইজানরে,

গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি,  আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো এমপি প্রার্থী হইয়া নতুন কৌশলে এমপি নির্বাচিত হইয়া ধর্ম মন্ত্রী হইবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাইয়া দিন যাপন করিতেছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া মাংস, মুরগী তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে হিমসিম খাইয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি। গেল সপ্তাহে সাবেক বিএনপি আমলের মন্ত্রী  ড. মোশাররফ হোসেন সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা লিখিবার পর এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম, এইজন্য লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার পরও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন এবং ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।

ভাইজানরে,

আপনি হইলেন, চট্টগ্রাম-১৫  লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আসনের সংসদ সদস্য । ইসলামিক স্কলার হিসেবেও আপনার পরিচিতি রহিয়াছে।শুনিয়াছি, ১৯৬৮সালে ১৫ আগস্ট  সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন ।আপনি আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান । ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।আপনি ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নরও। আপনি সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের শরীয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের শরীয়াহ বোর্ডের সদস্য। এছাড়াও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্টের সদস্য এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ শাখার নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইন্টারন্যাশনাল লীগ ফর ইসলামিক লিটারেচার এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করিয়াছেন।যাক সেই সব কথা।

ভাইজানরে,

সাতকানিয়ায় এখন আওয়ামী লীগ টুকরো টুকরো হইয়াছে। এক সময় দক্ষিণ চট্টগ্রামে আনোয়ারায় দুইজন কেন্দ্রিয় নেতা ছিলেন ।আতাউর রহমান খান কায়সার ও আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু  দুইজনই কেন্দ্রীয় নেতা হইলেও আনোয়ারায় ছিল প্রচণ্ড গ্রুপিং। ঠিক একই দশা বিরাজ করিতেছে এখন সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া আসনে। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর বাড়ীও এই  এলাকায় । আমিনুল ইসলাম ও ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া দুইজনই কেন্দ্রিয় নেতা। শেখ হাসিনার কাছেরই লোক । তবু আপনি এই এলাকার শেখ হাসিনা মনোনিত আওয়ামী লীগেরই মনোনিত সংসদ সদস্য।  এই কারণেই গ্রুপিং,  দ্ধন্ধ  নিরসণে আপনাকেই ভাবিতে হইবে বেশী ।মনে রাখিবেন, সাতকানিয়া লোহাগাড়া বলিলেই আপনার নাম সবার আগে চলিয়া আসিবে।কেন্দ্রিয় নেতারা সাতকানিয়া লোহাগাড়ার জন্য অপরিহার্য না হইলেও আপনি এখানকার এক নম্বর ব্যাক্তিত্ব।আপনার ভক্তরা বলিতেছে, আপনাকে লইয়া ষড়যন্ত শুরু হইয়াছে্‌ ।

ভাইজানরে,

আপনার বিরুদ্ধবাদীরা বলিতেছে, একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রকাশ্য থাপ্পড় মারিয়া প্রমাণ করিয়াছেন আপনি প্রকৃত আওয়ামী লীগদের ভালবাসেন না। বিষয়টি শুনি্য়া প্রধানমন্ত্রী খুবই মর্মাহত হইয়াছে বলিয়া খবর পাইয়াছি।ডিজিটাল যুগে টুস করিলে টাস হইয়া মুহূর্তেই ছড়িয়া পড়ে।এখন কিছুই লুকাইয়া রাখিবার সুযোগ নাই।একবার আ জ ম নাছির উদ্দিন মেয়র থাকা অবস্হায় একজন প্রকৌশলী উপর থাপ্পড় কাহিনী হইয়াছিল।যাহা সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেখিয়াছেন।তখনো আ জ ম নাছির উদ্দিনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নাখোশ হইয়াছিল।একই দশা এখন আপনার উপর চলিতেছে। কান কথা,  গুজব ও ষড়যন্ত্রতো আছেই। এসব মোকাবেলা করিতে হইলে সতর্ক অবস্হায় বুদ্ধিদিপ্ত প্রকল্প হইয়া আগাইতে হইবে।

আজ আর না ।আগামী সংখ্যায় আপনাকে লইয়া আবারো লিখিব।চোখ ,কান খোলা রাখিয়া চলিবেন।আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্হ্য কামনায়

ইতি আপনারই গ্রাম বাংলার অখ্যাত ঠান্ডা মিয়া

গ্রন্থনা ম আ হ

তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২৩

 

 

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply