২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:০৫/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ

ধুলো বালি উড়ছে :ইপিজেড-পতেঙ্গা এলাকায় শ্বাসকষ্ট ও বায়ূবাহিত রোগের আশংকা

     

 হোসেন বাবলা
 নগরীর ইপিজেড-পতেঙ্গা প্রধান সড়ক যেন এখন ধুরো-বালি আর কাদাঁর পথ.! দুই ইপিজেডের লক্ষ্য লক্ষ্য শ্রমিক পথচারীদের চলাচল নিত্য ঝুঁকি যেন পিছু ছাড়ছে না। গেল তিনটি বছর এমনিতেই মানুষ মরণব্যাথি করোনাভাইরাস, ডেঙ্গুজ্বর আর বিভিন্ন ফ্লু,ভাইরাস ও জলবাহী রোগে আক্রান্ত হয়ে কোন মতে জীবন-যাপন করছিলেন। শহরের উন্নয়ন আর অপরিকল্পিত কাজের মালামাল সহ আসবাবপত্র যত্রতত্র ফেলে রেখে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচলকে ব্যহত করছে। এলিভেটএক্সপ্রেস সেতুর কারণে এই প্রধান সড়কে প্রায় সময় সিমেন্টের গুড়া, ইটের টুকুরা,বালি-কংকর ও লোহার ফুলকি বাতাসে উড়ে সর্বত্রই ধোয়াঁর মতো পরিবেশ সৃষ্টি করছে। উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ম্যাক্স গ্রুপ কে বার বার বলে কোন স্থায়ী সমাধান জনগণ পাই নি। এলাকার সল্টগোলা ক্রসিং থেকে ব্যারিস্টার কলেজ রোড, ফ্রিপোট মোড়, বন্দরটিলা, হাসপাতাল গেট, সিমেন্ট ক্রসিং,মহাজানঘাটা, স্টিলমিল বাজার হতে কাটগড় মোড় ও মহিলা কলেজের সামনে পর্যন্ত । বিশেষ করে ইপিজেড থানার মোড় ও নেভী স্কুলের সামনে, টিসিবির মোড়েধুলো-বালি আর কাদাঁর পথ যেন অজো পাড়ার গ্রামের মেঠাপথ…! গেল ২/৩ মাসের মধ্যে ৭/৮বার ধোয়াঁর মতো পরিবেশ সৃষ্টি হলে( বায়ূ দূষন) আকারে ধারণ করলে চসিকের মাধ্যমে ম্যাক্স গ্রুপ কে তাগাদা দিয়েও ফলাফল শূন্য। গতবছর সাবেক সিটি মেয়র প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নাগরিকদের নিয়ে বন্দরটিলায় মানববন্ধন ওঅনশন কর্মসূচি পালন করে দৈনিক ৩/৪বার পানি ছিটানো, সড়কের মেরামত, নালা-নর্দমা, ড্রেন ওপানি চলাচলের পথ সৃষ্টি করেই উন্নয়ন কাজ করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু চসিক, সিডিএ ও ম্যাক্স গ্রুপ কেউ সমন্বয় করে উন্নয়ন কাজ না করাতে জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। এই ব্যাপারে এ অঞ্চলের দুই ইপিজেডের বেশ কয়েকজন স্থানীয় ও অতিথি চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞগণ মতামত প্রকাশ করেন যে, এই পরিস্থিতি আরো কয়েকদিন চলতে থাকলে সড়কে চলাচলরত ওপথচারী কিংবা বাসিন্দারা বায়ূবাহিত নানান রোগে, শ্বাসকষ্ট সহ জটিল রোগে আক্রান্ত হবার বেশ আশংকায় রয়েছে। সিইপিজেডের মেডিকেল অফিসার ও লায়ন্স জেলার ডাইরেক্টর ডাঃ জাকিরুল ইসলাম এবং পতেঙ্গা ডায়গোনেষ্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডাঃশাহাদাত হোসেন পাটুয়ারী প্রতিবেদক কে জানায়, আমরা এই রোডে নিয়মিত চলাচল করছি, আর নিশ্চিত বলা চলে এখানে মারাত্মক শ্বাসকস্ট সহ বায়ূবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছি।
গত কয়েকদিন পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা সিভিলসার্জন অফিস সূত্রে বিভিন্ন মিডিয়া তথ্য প্রকাশ হয়েছে যে, পতেঙ্গা-হালিশহরের বিভিন্ন স্থানে জলবাহি ও বায়ূবাহি-পরিবেশ দূষনে জন্ডিস পেঠব্যথা,গলগন্ড রোগসহ ইত্যাদি সংক্রামক ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম হচ্ছে। বিষয় টি দ্রুত নিরাসন না হলে এই জন গুরুত্বপূর্ণ ইপিজেড-পতেঙ্গা এলাকার জনগণ শ্বাসকষ্ট ও বায়ূবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নিশ্চিত কঠিন সমস্যা পড়তে পারেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply